আমরা পুরোপুরি অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে রয়েছি : সেনাপ্রধান – BanglaNewsBDHub.com |

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo


জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান (ফাইল ছবি)

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সমর্থন করবেন। সেনা সদর দপ্তরে একটি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

সাক্ষাৎকারে অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা, অন্তর্বর্তী সরকারকে সেনাবাহিনীর সমর্থন, নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরি, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক, প্রধানের ক্ষমতার সমতা। সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের চিন্তাভাবনা উঠে এসেছে সেনাপ্রধানের।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আমরা পুরোপুরি সরকারের সঙ্গে আছি। প্রধান উপদেষ্টা যেভাবে আমাদের সাহায্য চাইবেন আমরা তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করব। এতে আমাদের অসুবিধা হলে, সৈনিকদের সাময়িক অসুবিধা হলেও আমরা সরকারকে সহযোগিতা করব। দেশ ও জাতির স্বার্থে আমরা তা করব। এ জাতি, দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে আমরা যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।

তিনি বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সাহায্য করছি। তারা আমাদের কাছ থেকে যে ধরনের সাহায্য চায় আমরা দিচ্ছি এবং দেব। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আপনি আপনার কাজ করেছেন, এখন পুলিশ আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব নেবে। আমরা তখন সানন্দে ক্যান্টনমেন্টে ফিরে যাব।

বিপ্লবের পর নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘আমি আশাবাদী। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভালো রাজনীতিবিদ আছেন। হয়তো এমন লোক আছে যারা দ্বিমত পোষণ করে। আমার অতীত অভিজ্ঞতায়, যখন এমন একটি ক্রান্তিকাল আসে, যখন আমরা আমাদের রাজনীতিবিদদের সাথে বসি, তারা সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসে।’

অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা আশা করে তিনি বলেন, ‘এখনই সমঝোতা সম্ভব। এটা একসাথে বসে করা যায়। এটাও সংস্কৃতির ব্যাপার। এটা সবার বোঝা উচিত। আমি হতাশাবাদী নই।’

রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ না করার বিষয়ে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি রাজনীতিবিদরাই রাজনীতিবিদদের একমাত্র বিকল্প। তাদের বিকল্প সেনাবাহিনী নয়।

সেনা সদস্যদের দীর্ঘ সময় মাঠে থাকার ঝুঁকি প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করছি। কিন্তু 1/11 নিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর নয়। মাঠে সৈন্যদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতি উচ্ছৃঙ্খল আচরণে জড়িত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। যদিও সংখ্যাটা খুবই কম। শাস্তিমূলক ঘটনার জন্য আমরা তদন্তের সাথে সাথে শাস্তিও দিই। তারপরও শৃঙ্খলার বিষয়টি আমাদের জন্য বিব্রতকর। আমাদের এই ধরনের কর্মকাণ্ড বা রাজনীতিতে জড়ানোর জন্য তৈরি করা হয়নি।’

সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনার কথাও বলেছেন সেনাপ্রধান। তিনি সশস্ত্র বাহিনীকে রাষ্ট্রপতির অধীনে রাখার বিষয়েও তার মনোভাব ব্যক্ত করেন। এ প্রসঙ্গে ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে হবে।

তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত না জানিয়ে তিনি বলেন, আমি সংবিধান বিশেষজ্ঞ নই। আমার নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে আমি বুঝতে পারি যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যের প্রয়োজন আছে। সশস্ত্র বাহিনী রাষ্ট্রপতির অধীনে রাখা যেতে পারে।

আলোচনায় তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সশস্ত্র বাহিনী প্রধান উপদেষ্টার অধীনে ছিল। আমি এই ধারণা সম্পর্কে কথা বলছি. ক্ষমতার ভারসাম্যের বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন ড. এটা কিভাবে হতে পারে, বিশেষজ্ঞরা ভালো বলছেন। তবে এই পরিবর্তন আনতে পারলে শাসন ব্যবস্থায় ভারসাম্য আসবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।