
বন্ধ ঘোষণা করা দুটি কারখানা চালুর দাবিতে গাজীপুর শহরের কোনাবাড়ি এলাকায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে এসব কর্মসূচি পালন করছেন শ্রমিকরা।
পুলিশ ও কারখানার শ্রমিকরা জানান, গত ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী ওই দুটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পরে রোববার সকালে শ্রমিকরা কারখানার প্রধান ফটকে জড়ো হয়ে কারখানা চালুর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। বিকেলের একপর্যায়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করবে এই শর্তে শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে। এ সময় কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের শর্ত সাপেক্ষে কারখানায় যোগ দিতে বলে। কিন্তু শ্রমিকরা তা মানেনি। এর জের ধরে সোমবার সকালে কোনাবাড়ি এলাকায় কারখানার সামনে আবারও দুই কারখানার শ্রমিকরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ সময় শ্রমিকরা নিঃশর্তভাবে কারখানা চালু ও শ্রমিকদের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কাজ বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। পরে ১৮ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
শ্রমিকরা ৩ নভেম্বর শিল্প পুলিশের এক সদস্যকে মারধর করে। পরে শিল্প পুলিশ বাদী হয়ে ৫০-৬০ অজ্ঞাতপরিচয় শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ১৭ ডিসেম্বর শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেন। পরে কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে শ্রমিকরা। কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে। আমাদের বাহিনী ঘটনাস্থলে রয়েছে।