
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংগঠিত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত চিকিৎসক, সিনিয়র স্টাফ নার্সসহ ১৫ কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে রোববার (৫ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডা.
বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের মেডিকেল অফিসারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আবু তোরাব আলী মিম, চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ সিদ্দিকী প্রাণ, পরিচালক (হাসপাতাল) অফিসের চিত্রশিল্পী নীতিশ রায়, মোঃ সাইফুল ইসলাম এমএলএসএস কাজী মেহেদী হাসান, সহকারী ড্রেসার শহিদুল ইসলাম (সাইদুল) ও সুইপার সন্দীপ।
এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের অফিস সহকারী উজ্জল মোল্লা, পরিবহন শাখার চালক সুজন বিশ্ব শর্মা, বহির্বিভাগের (ওপিডি-১) এমএলএসএস ফকরুল ইসলাম জনি, কাস্টমার কেয়ার অ্যাটেনডেন্ট রুবেল রানা। পরীক্ষাগার সেবা কেন্দ্র।
বরখাস্তের তালিকায় আরও রয়েছেন সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শবনম নূরানী, ওয়ার্ড মাস্টার অফিসের এমএলএসএস শাহাদাত, কার্ডিওলজি বিভাগের এমএলএসএস মুন্না আহমেদ এবং ওয়ার্ড মাস্টার অফিসের এমএলএসএস আনোয়ার হোসেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৪তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও কর্মচারীরা যারা সংগঠিত হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা বিদ্রোহের সময় কর্মদক্ষতার ধারা 2 (g), (h) এর অধীনে মামলা করা হয়েছে। শৃঙ্খলা অধ্যাদেশ। (j) এবং (d) অনুযায়ী স্থগিত।
আরও বলা হয়েছে, সাময়িক বরখাস্তের সময় দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ১৪ ধারা অনুযায়ী উল্লেখিত চিকিৎসক, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী বেতন-ভাতা প্রাপ্য হবেন। তবে তাদের চাকরি নিয়মানুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হবে।
এমনকি এই আদেশ 5 জানুয়ারী, 2025 থেকে কার্যকর হবে বলে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।