
রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সরকারের সমালোচনা করে বক্তব্য দেওয়ায় গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি ফারুক হাসানের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার পর হামলার শিকার হন তিনি।
পরে তার ফেসবুক লাইভে ফারুক তার ওপর হামলার জন্য ছাত্রদলকে অভিযুক্ত করেন তবে হামলার সঙ্গে জড়িতদের পরিচয় জানা যায়নি।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে।
সূত্র জানায়, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক সংগঠন ফ্যাসিবাদ বিলুপ্তি ও নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবিতে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের নেতা ফারুক হাসান। কর্মসূচিতে অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করেন ফারুক। এ সময় অনুষ্ঠানে আসা কয়েকজনের সঙ্গে ফারুকের কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে ফারুকের সঙ্গে তার সঙ্গীদের ওপর হামলা চালায়। বিক্ষুব্ধ জনতা কয়েকটি চেয়ার ভাংচুর করে। এরপর তিনি ফারুককে ধাওয়া করে ঢাকা মেডিকেলের দিকে যাওয়ার রাস্তায় নিয়ে যান এবং সেখানেও মারধর করতে থাকেন।
আহত হওয়ার পর ফারুক হোসেন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ভিডিও লাইভে বলেন, আমার বক্তব্যে ক্ষোভে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আমার ওপর হামলা করে আহত করেছে। আমার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ চুরি হয়েছে। নিজেদের গণঅধিকার পরিষদের নেতা পরিচয় দিয়েও তারা এই হামলা চালিয়েছে
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ১০-১৫ জন ফারুক হাসানের ওপর হামলা চালায়। হামলার সঙ্গে জড়িতদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে। পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির মজুমদার বলেন, ফারুকের ওপর হামলার সঙ্গে আমাদের সংগঠনের কেউ জড়িত নয়। অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস ও অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করেন ফারুক। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা ফারুকের বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন। একপর্যায়ে উপস্থিত কয়েকজন ফারুকের ওপর হামলা চালায়।