
ময়মনসিংহ নগরীতে হযরত শাহ সূফী সৈয়দ কালু শাহ (রহ.) এর মাজারে মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও সামা কাওয়ালী অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে বাধা দেওয়া হয়েছে। এরপর গভীর রাতে কয়েকশ মাদ্রাসা ছাত্র হামলা চালিয়ে ২০০ বছরের পুরনো মাজারের একটি অংশ ভেঙে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর থানা ঘাট এলাকায় সামা কাওয়ালী অনুষ্ঠান চলাকালে পার্শ্ববর্তী জামিয়া ফয়জুর রহমান (অব.) মোমেনশাহী বড় মসজিদ মাদ্রাসার শতাধিক শিক্ষার্থী হামলা চালায়। সেখান থেকে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে যান শিল্পীরা। শিক্ষার্থীরা মঞ্চ, ছাউনি, চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে। এ সময় বাধা দিতে এলে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
এরপর বিকেল ৩টার দিকে মাদ্রাসা ছাত্ররা মাজারে হামলা, ভাংচুর ও আগুন দেয়। ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের পর শিক্ষার্থীরা চলে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে খবর শোনার পর ভক্তরা সেখানে ভিড় জমাতে শুরু করেন। থানার ঠিক উল্টোদিকে এমন হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
হযরত শাহ সূফী সৈয়দ কালু শাহ (রহ.) এর মাজারে পীরবাবা খলিলুর রহমান চিশতী নিজামী বলেন, ১৭৯তম ওরশ উপলক্ষে মাগরিবের পর মিলাদ করা হয়। মিলাদ শেষে থানা গেটের সামনে শামিয়ানা টেনে সম গানের আয়োজন করা হয়। রাত ১১টার দিকে ওসি এসে তড়িঘড়ি করে গান বন্ধ করতে বলেন। সঙ্গে সঙ্গে সব বন্ধ হয়ে যায়। তা বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাদ্রাসার শতাধিক শিক্ষার্থী এসে সবকিছু ভাঙচুর করে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে আবারও ছাত্ররা এসে মাজারে হামলা, ভাংচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, আমরা খুব খুশি, দেড়শ বছরেও এমন ঘটনা ঘটেনি। আমরা এখানে কোনো ভুল করিনি। তারা এসব না ভাঙলে আমরা সব বন্ধ করে দিতাম। এখন আমাদের বিচার চাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
মাজারের উৎসব সংগঠক আলম চিশতী বলেন, “আমরা অনেক বছর ধরেই সমা কাওয়ালির আয়োজন করে আসছি। ওসি যখন অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বলেন, তখন আমরা বাধা দেই। তাহলে কেন ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা? থানার সামনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। , এমন ঘটনা আমি মেনে নিতে পারি না যে আল্লাহর আউলিয়ারা দ্বীন ও দ্বীনের দাওয়াত দেন তাহলে আমাদের উপর এমন হামলা কেন?