বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসানের চলচ্চিত্র ‘নকশী কাঁথার জমি’। শুক্রবার থেকে দেশের ছয়টি মাল্টিপ্লেক্সে দেখা যাবে ছবিটি। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের গল্প অবলম্বনে সিনেমাটিতে উঠে এসেছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের গল্প।
সিনেমাটির প্রযোজক আকরাম খান গ্লিটজকে জানান, সিনেমাটি স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা সিটি মল, সিমেদান সম্ভার, সনি স্কয়ার এবং বালি আর্কেডে প্রদর্শিত হচ্ছে। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের লায়ন সিনেমাস ও সিনেস্কোপে চলছে ছবিটি।
সিনেমাটির গল্প নিয়ে পরিচালক আকরাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটের গল্প। দুই বোন রাহেলা ও সালেহার গল্প। যুদ্ধের সময় তাদের সংসারে ফাটল দেখা দেয়। ঘরে যুদ্ধ চলুক। যুদ্ধের পর তারা দেখতে পায় তাদের জীবনের সবকিছুই হারিয়ে গেছে মুক্তির সংগ্রামে। পরে নকশিকাঁথায় তাদের জীবন সংগ্রামের আখ্যান তুলে ধরেন।
এতে দুই বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান ও ফারিহা শামস সেনোতি; দুই ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরেশ যাকের ও রওনক হাসান। দুই ভাই দিব্যা জ্যোতি এবং সৌম্য জ্যোতি আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন।
রাহেলার চরিত্র সম্পর্কে জয়া আহসান বলেন, আমার রাহেলা চরিত্রটি একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। চরিত্রটি এত বড় বোন রাহেল হবে পাথরের মতো মানুষ। তার কোনো অভিব্যক্তি নেই, সে কখনো কাঁদে না। রাহেলা খুশি হলেও বোঝা যাবে না, দুঃখ পেলেও বোঝার উপায় নেই। তার কোন অনুভূতি থাকবে না। এই চরিত্রটি করার ক্ষেত্রে আমার চ্যালেঞ্জ ছিল যে আমি কখনই আমার চোখের পাতা হারাতে পারি না। শুটিংয়ের সময় আমাদের এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হয়েছিল। কয়েকবার চোখ বুলানো আমাদের স্বভাব কিন্তু না করাটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। জয়া সবাইকে ছবিটি দেখার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এটা আমাদের দেশের মুক্তিযুদ্ধের গল্প। মুক্তিযুদ্ধের সময় নারীদের বেদনা, সে সময় তারা কীভাবে জীবনযাপন করেছিল, যুদ্ধের পরও তাদের জীবন-যাপনের বিষয়টিও উঠে এসেছে সিনেমায়।
এর আগে ‘নকশী কাঁথার জমিন’ ভারতের বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতেছে। ছবিটি ভারতের 53তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে (IFFI) ICFT-UNESCO গান্ধী পদকের জন্যও মনোনীত হয়েছিল।