হবিগঞ্জের লাখাইয়ে বিল দখলকে কেন্দ্র করে রাতের আঁধারে মশাল জ্বালিয়ে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ৪ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারী ও শিশুসহ অন্তত শতাধিক মানুষ আহত হয়। সিলেটে গুরুতর আহত ৪ জন এবং ৪০ জনকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার স্বজনগ্রাম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। লাখাই থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, লাখাই ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ রূপন ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারিছ মিয়ার মধ্যে কাঞ্জা বিল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার লাখাই বড় বাজারে চেয়ারম্যান রূপনের সঙ্গে বিএনপি নেতা হারিছ মিয়ার লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। পরে গ্রামের লোকজন তাদের পক্ষে দুই দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও টর্চ লাইট নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। রাতের আঁধারে প্রায় ৪ ঘণ্টা সংঘর্ষ চলে। এ সময় উভয় পক্ষ একে অপরকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া করে। আহত হয়েছে নারী ও শিশুসহ অন্তত শতাধিক মানুষ।
স্থানীয়রা ৪০ জনকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে এবং অন্যদের লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক চারজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এর আগে লাখাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত ১০টার দিকে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে।
লাখাই থানার ওসি বন্দে আলী জানান, দুই পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।