অত্যাচার-নির্যাতন-হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ আওয়ামী লীগের – BanglaNewsBDHub.com |

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo



চলমান নারকীয় নির্যাতন ও নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সম্প্রদায় ও শ্রেণী-পেশার মানুষকে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। রোববার দলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ প্রতিবাদ বক্তব্য দেওয়া হয়। উক্তিটি Yassamya.com এর পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো।

বিবৃতিতে বলা হয়- ‘ছাত্রদের তথাকথিত আন্দোলনের আড়ালে সুকৌশলে একটি নির্বাচিত সরকারকে অপসারণ করে বাংলাদেশ সাধারণ মানুষের জন্য একটি অনিরাপদ জনপদে পরিণত হয়েছে। নৈরাজ্যবাদী ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অসাংবিধানিক সরকার ক্ষমতা দখলের পর থেকে মানুষ অনিশ্চয়তা ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। ফলে দেশের গণতান্ত্রিক জনগণ ইউনূসের ক্ষমতা দখল নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তাই এ ধরনের প্রশ্নের জাগরণ ঠেকাতে সরকার সুপরিকল্পিতভাবে ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে অকল্পনীয় সন্ত্রাসের রাজত্বে পরিণত করেছে। এভাবে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংহতি বিনষ্টের মধ্য দিয়ে গভীর নীলনকশার অংশ হিসেবে ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ানোর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে বিশ্বাসের কাঠামো ও স্থিতাবস্থা ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে দেশবাসী প্রত্যক্ষ করছে, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে সব মানুষই কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সনাতন-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, সংখ্যালঘু গোষ্ঠীসহ অন্যান্য সম্প্রদায় ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষের ওপর গণহত্যা চালানো হচ্ছে। দখলদার সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে খুন, দখল, ছিনতাই, ধর্ষণ ও লুটপাটের মানসিকতা ছড়িয়ে পড়েছে জনগণের একটি ক্ষুদ্র অংশের মধ্যে। এসব ঘটনার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের পরোক্ষ প্রণোদনা রয়েছে। যা অনির্বাচিত সরকারের স্বাভাবিক আচরণ। ফলে রাজ্যের বাইরে সামাজিক ক্ষেত্রে মানুষের যে স্বস্তির জায়গা ছিল তা রুদ্ধ হয়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে অপমান করা হচ্ছে বীর মুক্তিযোদ্ধা, মাতৃভূমির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের, অপমান করা হচ্ছে সমাজে আলো ছড়ানো শিক্ষকদের। অনেকে এসব অপমান ও দুঃখ সইতে না পেরে আত্মহত্যা করছে। অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা চরমভাবে লাঞ্ছিত হন এবং এই শোকের চাপে অনেকে মারা যান। কর্মক্ষেত্রসহ দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা নানা ধরনের হয়রানির শিকার হন। এমনকি ধর্ষণ-গণধর্ষণ করে হত্যা করা হচ্ছে। নড়াইলে এক নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্যকে গণধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। এসব অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা লক্ষ্য করা না গেলেও রাজনৈতিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ ও আওয়ামী লীগ নির্মূলে তাদের নিষ্ক্রিয়তা দৃশ্যমান। একদিকে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে, অন্যদিকে বিভিন্ন গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে আওয়ামী লীগের কর্মীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে। এসব জঘন্য কর্মকাণ্ডের সর্বশেষ সংযোজন হলো যশোরের নওয়াপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জিয়া উদ্দিন পলাশ সরদারকে গতকাল (২৮ ডিসেম্বর) বিএনপি ও ছাত্রদল সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এভাবে একদিকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে, অন্যদিকে এই অবৈধ দখলদার গোষ্ঠী তাদের পরিবারের সদস্যদের বিচার চাওয়ার পথ রুদ্ধ করে রেখেছে। আমরা এসব হত্যা ও অন্যায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসার পর শহীদ জিয়া উদ্দিন পলাশ সরদারের পিতা ইব্রাহিম সরদারকেও বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করে। আমরা গোটা জাতির সামনে প্রশ্ন রাখতে চাই, একের পর এক লাশ গুনে, আজকের বাংলাদেশ কি প্রতিদিন কাটাবে? গোটা জাতির বিবেক কি নীরবে ক্ষতবিক্ষত হতে থাকবে? আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশ একদিন এর জবাব দেবে। লাশের মিছিল যতই দীর্ঘ হোক না কেন, বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে। নৈরাজ্যবাদী ইউনূস সরকারকে এই সমস্ত অপকর্ম ও লাশের দায় নিতে হবে এবং এসবের বিচার হবে বাংলার মাটিতে, ইনশাআল্লাহ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক।’

  • নির্যাতন
  • আওয়ামী লীগ
  • নির্যাতন
  • প্রতিবাদ
  • হত্যা
  • মন্তব্য করুন

    আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।