[]
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারিক রহমান বলেছেন, ‘পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আমাদের আবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রকৃত গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে। হারিয়ে যাওয়া আইনের শাসন, একটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা এবং বহুত্ববাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সেক্ষেত্রে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা হবেন আমাদের প্রেরণার উৎস।
শুক্রবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশবাসীর উদ্দেশে তারিক রহমান বলেন, আসুন শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আশার বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।
তিনি বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসটি জাতির ইতিহাসে একটি মর্মস্পর্শী ও বেদনাদায়ক দিন। আমি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।
‘অমর বুদ্ধিজীবীরা দেশের ক্ষণস্থায়ী শ্রেষ্ঠ সন্তান, যারা একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত জাতি দেখতে চেয়েছিলেন। তারা বিচারের ভিত্তিতে শোষণমুক্ত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আশা করেছিল। কিন্তু চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে হানাদার বাহিনীর মিত্ররা স্বাধীন বাংলাদেশকে হতাশ করার উদ্দেশ্যে এই হত্যাযজ্ঞ চালায়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘স্বাধীনতার পরপরই অগণতান্ত্রিক শক্তি তাদের মুখোশ খুলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো একের পর এক দেশের জনগণের সার্বজনীন গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করতে থাকে। তারা রক্ত ও ত্যাগের নদীর বিনিময়ে অর্জিত আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে এবং একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আশাকে ধ্বংস করে।’
তিনি বলেন, তাদের উত্তরসূরি আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা দুঃশাসনের ঐতিহ্যকে ধারণ করে বিভাজন, অনৈক্য, সংকীর্ণতা, গুম, খুন, ক্রসফায়ারের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠন ও জাতীয় অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল। আমাদের রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক উন্নয়ন এবং দেশকে একটি সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর ও শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করার পরিবর্তে তারা একদলীয় দুঃশাসনের পরিবেশ সৃষ্টি করে।’
তারিক রহমান বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আমি দেশের প্রথম শ্রেণীর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই, যারা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের হাতে শহীদ হন। তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।’
[]
https://banglanewsbdhub.comnews/50503/Mrtyre-intellectuls-will-be–source-of-motivtion-to-restore-the-rule-of-lw-Triq-Rhmn >