স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:০৬ | আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:১৭
ঢাকা: আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞানী পরিষদের সভাপতি মালা খানসহ সহযোগীদের হমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্ (বিআরআইসিএম) এ কর্মরত বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এমতাবস্থায় দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাসহ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিআরআইসিএমে কর্মরত বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা এ দাবি জানান। বিজ্ঞানী জাবেদ আহমেদ, মেহেদি হাসান টুটুল, রাইসুল ইসলাম রাব্বি, আয়শা আক্তার লাবনী প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তদন্তে বিলম্বের সুযোগে আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞানী পরিষদের সভাপতি মালা খান গং কর্তৃক বিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি ও তুলে নেওয়ার প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৫ আগস্টের আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য মালা খান ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান ওই সময় বিআরআইসিএম প্রাঙ্গণে কয়েক দফায় বৈঠক করেন। সম্প্রতি মালা খান নিজের আওয়ামীলী পরিচয় গোপন করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে প্রিয়ভাজন হওয়ার চেষ্টায় আছেন। তার অবৈধ কার্যক্রম নিয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হয়। কিন্তু তদন্ত কমিটি গঠন ও তদন্ত কার্যক্রম বিলম্বের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাওয়া বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের হয়রানি করছেন তিনি। বিভিন্ন হুমকি ধামকির মাধ্যমে মালা খান সবাইকে দমানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ধারাবাহিকতায় তার সাথে আপসের প্রস্তাব নাকচ করায় গত বুধবার সন্ত্রাসীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠানের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মশিউর রহমানকে তুলে নিয়ে নিউমার্কেট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তুলে নেওয়ার সময় সময় তাকে বলা হয় যে, মালা খান থানায় আছেন এবং তার সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে কথা বলবেন।
উল্লেখ্য নিউমার্কেট থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন উদ্দিন ও সুমন ঘটনার প্রায় এক মাস আগে অফিস প্রাঙ্গনে এসে একটি সমঝোতা বৈঠকের বিষয়ে মালা খানের পক্ষ থেকে একটি সমঝোতা বৈঠকের বিষয়ে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আগস্ট পরবর্তী সময় বিভিন্ন থানায় আওয়ামী দোসরদের বিরুদ্ধে মামলার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত নয় এমন নির্দোষ ও নিরপরাধী ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে মামলা বাণিজ্য শুরু করেছে একটি মহল। মালা খান ওইসব মামলা বাণিজ্যকারীদের সাথে আঁতাত করে যারা তার অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছেন তাদের হেনস্থা করতে সুকৌশলে মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সরকারের কাছে ৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হচ্ছে- অনতিবিলম্বে মালা খানকে বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রদান এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া; বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে আনীত হয়রানিমূলক সকল মামলা প্রত্যাহার করে তার নিঃশর্ত মুক্তি প্রদান এবং প্রতিষ্ঠানের সকলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
বাংলানিউজবিডিহাব/এএইচএইচ/আরএস
বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞানী পরিষদ সভাপতি মালা খান
বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্ (বিআরআইসিএম)