রাজশাহীর পুঠিয়ায় আলীউজ্জামান মুন্টু (৬২) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর করেছে বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা। তিনি পুঠিয়ার বানেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাটিদহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। এছাড়াও তিনি সাবেক প্রতিমন্ত্রী, রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারার মামা।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বিড়াল শ্মশান মাজারের সামনে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। এ সময় রড দিয়ে পিটিয়ে মুন্টুর পা ভেঙে দেয় বিএনপি কর্মীরা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আলীউজ্জামান মুন্টুর বাড়ি কাটিদহ গ্রামে। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে ছিলেন মন্টু মাস্টার। গত বৃহস্পতিবার তিনি দেশে ফেরেন। তার বিরুদ্ধে পুঠিয়া থানায় কোনো মামলা নেই।
আহত আওয়ামী লীগ নেতা আলীউজ্জামান মন্টু জানান, শনিবার সকালে আমি টিস্যু কিনতে বিড়ালের শব হাটে গেলে স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতা আমাকে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ধারালো অস্ত্র, রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয়। মিঠুন (৩২), আহসান হাবিব (৩৪), আহাদ আলী (২৮), জুয়েল (৩৬), ওয়াসিম (৩৯) সহ অন্যরা সহিংসতায় অংশ নেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত বিএনপি কর্মী। মিঠুন বলে আমার চাচা মারা গেছেন। মামার জানাজা নিয়ে ব্যস্ত। কাউকে মারধর করার প্রশ্নই আসে না। যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে তারা আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে আমার বাবা ও ভাইকে হত্যা করেছে।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, শুনেছি কয়েকজন দুর্বৃত্ত মুন্টু মাস্টারকে ধরে মারধর করেছে। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। কিন্তু তার আগেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।