
মৃত ঘোষণার পর ওরা, তাকে একটি জলপাই রঙের
হেলিকপ্টারে তুলে দিল!
বলল, ওড়ো..
তুমি উড়তে থাকো,
পদ্মার পাখি, যাও খুব দূরে
যেখানে তোমাকে কেউ দেখতে
পাবে না! চিনতে পারবে না কেউ;
অথবা এই যে রক্তাক্ত কালোদাগ
তা’ও সনাক্ত করতে পারবে না
কোনো মানুষ, কোনো বৃক্ষ!
কে খুন করল তাকে!
কে খুনি! কোথায় খুনি!
কে সেই হত্যাকারী! রাষ্ট্র- নাকি
রুস্তম! দৈত্য, নাকি দখলদার!
হাঁক দিতে দিতে মাটিতে খুব জোরে
লাত্থি দিতে থাকলেন একজন
মুক্তিযোদ্ধা! কোথায় আমার মেয়ে!
কোথায়! কই!!
বলতে বলতে তিনি ছুটছেন…
শুধু ছুটছেন…
খুব ভয়ে আজ দৌড়ে পালাচ্ছে
পুরো বাংলাদেশ,
পালাচ্ছে মার্চ মাস, মুক্তিযুদ্ধ
একাত্তর, মানচিত্র, এবং
লাল-সবুজের পতাকা।
কেউ নেই ওদের রক্ষাকারী!
কেউ নেই, পতাকার পাশে-হায়!
একটি নয়, প্রতিদিন-
অসংখ্য ধর্ষিতা শিশুর আর্তসংবাদ
চাপা দিয়ে উড়ে যাচ্ছে বয়স্ক শকুন;
এ কোন বন্দোবস্তের দগ্ধরেখা,
ওই দেখা যায় !