
প্রতীকী ছবি
রাজধানীর মতিঝিল থানাধীন কমলাপুরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে সুমি রানী রায় (৩৬) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে কমলাপুর আবাসিক হোটেল সি-ল্যান্ডের ছয়তলার একটি কক্ষ থেকে ওই নারীর মরদেহটি উদ্ধার করে মতিঝিল থানা পুলিশ।
পুলিশের সূত্র জানায়, মৃত সুমি রানীর গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পলাশ বাড়ি গ্রামে। স্বামীর নাম মানিক চন্দ্র রায়। অন্য এক ব্যক্তিকে স্বামী পরিচয় দিয়ে হোটেলের কক্ষটি ভাড়া নেন ওই নারী। মরদেহ উদ্ধার করা গেলেও স্বামী পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
রাত পৌনে ৮টার দিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, এই নারীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত সুমি রানীর গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পলাশ বাড়ি গ্রামে। আজ বেলা ১১টার দিকে সংবাদ পেয়ে কমলাপুর আবাসিক হোটেল সি-ল্যান্ডের ছয়তলার একটি কক্ষ থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, বেলা ১১টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ কমলাপুরের আবাসিক হোটেল সি-ল্যান্ডের ছয়তলার একটি কক্ষের বিছানা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য আজ সন্ধ্যার পর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
ওসি আরও বলেন, স্বামী পরিচয়ে সুমির সাথে হোটেল ওঠা ব্যক্তিকে আটক করা যায়নি। তাদের মধ্যে পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। একাধিকবার তারা ওই হোটেলে রেজিস্ট্রি খাতায় স্বামী–স্ত্রী পরিচয় দিয়ে উঠেছিল। সবশেষ গতকালও ওই হোটেলের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে রাত্রিযাপন করেন তারা। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ওই ব্যক্তি তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহত নারীর স্বজনরা আসছে উল্লেখ করে ওসি বলেন, ওই নারীর স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।