
ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলের আয়রন ডোম আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ব্যর্থ করে তেল আবিবে অবস্থিত প্রতিরক্ষা সদর দপ্তরে হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইরানে দফায় দফায় ইসরায়েলি বিমান হামলার পর তেহরানের এই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ শুরু হয়। খবর এনডিটিভি।
ইসরাইলের সর্বাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নাম ‘আয়রন ডোম’। মূলত এটা এমন একধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, যা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্রকে আকাশেই ধ্বংস করতে সক্ষম। বড় ক্ষেপণাস্ত্র তো বটেই, ক্ষুদ্র রকেটও ধ্বংস করে দেয় ইসরায়েলের আয়রন ডোম। ইহুদিদের কাছে তাদের এই আয়রন ডোম জাতীয় নিরাপত্তা আর গৌরবের প্রতীক। ইসরায়েলের সেই গর্বকে এবার চূর্ণ করে দিল ইরান।
সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসের যাচাই করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, তেল আবিবের একেবারে কেন্দ্রস্থলে আঘাত হানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র, যেখানে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদরদপ্তরসহ বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনা অবস্থিত। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
১৯ সেকেন্ডের ওই ক্লিপে দেখা যায়, ইসরায়েলের আয়রন ডোম একটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটি ওই আয়রন ডোম ভেঙে চোখের পলকে প্রতিরক্ষা সদরদপ্তরে আঘাত হানে। ক্লিপটি শুরু হয় বিকট শব্দে বেরিয়ে আসা প্রজেক্টাইল দিয়ে। তারপর আলোর ঝলক এবং আগুনের একটি গোলা বিকট শব্দে ভবনটিতে আঘাত করে।
এর পেছনে তেল আবিবের কিরিয়া এলাকার মার্গানিট টাওয়ারটি দেখা যায়। যা আইডিএফ সদর দপ্তরের কাছে শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। শুক্রবার সকালে ইসরাইল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা এবং সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ভয়াবহ হামলা চালায়। এতে ইরানের বেশ কয়েকজন সামরিক শীর্ষ কর্মকর্তা এবং পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হন। এরপর ইসরাইলে প্রতিশোধ নিতে শুরু করে তেহরান।
গত শুক্রবার সকালে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা এবং সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ভয়াবহ হামলা চালায়। এতে ইরানের বেশ কয়েকজন সামরিক শীর্ষ কর্মকর্তা এবং পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হন। এরপর ইসরায়েলে পাল্টা হামলা শুরু করে তেহরান।