আরও ২১ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একইসঙ্গে ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্যও দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নির্দেশনা পাঠিয়েছে সংস্থাটি। রোববার (৫ জানুয়ারি) বিএফআইইউ’র একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যে সাংবাদিকদের ডাকা হয়েছে তারা হলেন দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, বাসসের সিনিয়র রিপোর্টার শাহনাজ সিদ্দিকী, ডিবিসি নিউজের হেড অব নিউজ প্রণব সাহা, এসএ টিভির হেড অব নিউজ মাহমুদ আল ফয়সাল, এসএ টিভির হেড অব নিউজ হাসান জাহিদ তুষার। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মামুন আবদুল্লাহ, ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির হেড অব নিউজ ড. , এম শামসুর রহমান, ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির প্রধান সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির বিশেষ প্রতিবেদক অনিমেষ কর, সমসাময়িক সাংবাদিক রমা প্রসাদ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক। রুহুল আমিন রাসেল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের উপ-সম্পাদক মাহমুদ হাসান, দৈনিক খোলা কাগজের সিনিয়র রিপোর্টার জাফর আহমেদ, দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির সম্পাদক এম জি কিবরিয়া চৌধুরী, আমাদের সময় ডটকমের চিফ রিপোর্টার ও আওয়ার ইকোনমি দীপক চৌধুরী, একুশে টিভির ইনপুট প্রধান অখিল চৌধুরী। কুমার পোদ্দার, একাত্তর টিভির সাংবাদিক ঝুমুর বারী, একুশে সংবাদ ডটকমের সম্পাদক জিয়াদুর রহমান, দৈনিক কালবেলার বিশেষ প্রতিবেদক আঙ্গুর নাহার মন্টি, মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী, এসএ টিভির নির্বাহী পরিচালক রাশেদ কাঞ্চন ও একুশে টিভির সাংবাদিক রাশেদ চৌধুরী।
বিএফআইইউ নির্দেশনা অনুসারে, ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে চিঠি জারির তারিখ থেকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে অ্যাকাউন্ট খোলার ফর্ম, কেওয়াইসি এবং লেনদেনের বিবৃতি ইত্যাদির মতো প্রাসঙ্গিক তথ্য বা নথিগুলি বিএফআইইউতে পাঠাতে বলা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের টানা ১৬ বছরের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান হলো। নতুন অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর আওয়ামী লীগ সরকারের অপকর্ম এবং নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজন পেশাজীবীর ব্যাংক হিসাব তলব ও জব্দ করে বিএফআইইউ।
BFIU দুর্নীতি দমন কমিশন (ACC) এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে সন্দেহজনক বা অস্বাভাবিক লেনদেন বা সাব-পোইন অ্যাকাউন্টে অর্থ পাচার বা অনিয়মের কোনও প্রমাণ তদন্ত করার অনুমতি দেয়।