
সিলেট, গাজীপুর, নাটোর ও মৌলভীবাজারে একই দিনে সাংবাদিক চার জনকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যার নৃশংস ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে হিউম্যান রাইটস ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (এইচআরডিসি)। সংস্থাটি ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ড, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এইচআরডিসি’র সেক্রেটারি জেনারেল মাহবুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মানবজীবনের প্রতি এমন নিষ্ঠুর আক্রমণ শুধু মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন নয়, বরং আইনের শাসনের ওপর ভয়াবহ আঘাত।
এধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের নীরবতা বা কালক্ষেপন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিষয়ে সরকারকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে। সকল প্রকার প্রভাবমুক্ত থেকে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে ন্যায্য বিচারের মাধ্যমে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বিবৃতিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রম আরো জোরদার করে জানমালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, এইচআরডিসি দূঢ় ভাাবে বিশ্বাস করে, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার কার্যকর হলে নাগরিকদের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রের প্রতি আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। মানবাধিকার ও আইনের শাসন রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা গড়ে তোলার জন্য সকল নাগরিক ও সংগঠনকে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তায় মসজিদ মার্কেটের সামনে আসাদুজ্জামান তুহিন নামের এক সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। একই রাতে দৃর্বৃত্তরা নাটোরের গোপালপুরে নাজমূল নামের এক প্রাইভেটকার চালককে গলা কেটে হত্যা করে।
ওইদিন বিকেলে মৌলভীবাজারের শমসেরনগর শাহ ফয়জুর রহমান রুবেল নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়াও রাতে সিলেট মহানগরের কিন ব্রিজ এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ডালিম আহমেদ নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।