
প্রতীকী ছবি
স্বরূপকাঠি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিথী আক্তার (১৮) নামে এক নববধূর লাশ ফেলে পালানোর ঘটনায় মূল প্রধান আসামি স্বামী ফাহিম হোসেন গ্রেপ্তার হলেও ন্যায়বিচার নিয়ে শঙ্কিত নিহত মেয়ের বাবা মিজানুর রহমান। মামলার ২ নম্বর আসামি কৃষকদলের নেতা হওয়ায় মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছে।

ছবি : গ্রেপ্তার আসামি ফাহিম হোসেন
বাকি আসামিরা বিথীর শ্বশুর সোহাগ মিয়া, শাশুড়ি ছাবিনা এবং ইসমাত আরা ও মাসুম শেখ এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় ন্যায়বিচার নিয়ে চিন্তিত বিথীর পরিবার। সোহাগ মিয়া বিএনপির কৃষকদলের নেতা হওয়ায় দলীয় লোকজন নিয়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে মামলা তুলে নেয়ার জন্য।
এ বিষয়ে মিজানুর রহমান বলেন আমার আদরের মেয়েটাকে ওরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যা করে হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। আয়রন মেশিন গরম করে গোপন স্থানে ছ্যাকা দিয়ে মেরেছে মেয়েটাকে। আমি থানায় মামলা করি। প্রধান আসামি ফাহিম গ্রেপ্তার হলেও অন্যান্য আসামিরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি এবং সোহাগ মিয়া স্থানীয় কৃষক দলের নেতা হওয়ায় লোকজন নিয়ে আমাকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। তাই ন্যায়বিচার নিয়ে আমি শঙ্কিত। আমার পরিবারসহ ভয়ে ভয়ে বসবাস করছি কখন না জানি আমাদের ওপর হামলা করে বসে।

ছবি : আসামি কৃষকদল নেতা সোহাগ মিয়া
এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকার জানান, এক নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আশা করছি বাকিদেরও অতিদ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত (২৩ মার্চ) রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার স্বরূপকাঠি পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ছারছিনা গ্রামে এ নারকীয় ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিথী আক্তারের হত্যার প্রতিবাদে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছিল।