
ছবি : সংগৃহীত
ইউএসএআইডিকে ভালো কাজ করার জন্য সৎ বিশ্বাসে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন তিনি। খবর : এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।
জয়শঙ্কর বলেন, নিজের বাড়ি না ছাড়লেও আপনার সুরক্ষা হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। কারণ আপনার চিন্তার প্রক্রিয়া, প্রভাব, বয়ান, মনোবল, কী সঠিক এবং ভুল তা সম্পর্কে আপনার ধারণা ফোনের মাধ্যমেও প্রভাবিত হয়। আপনি প্রতিদিন কী পড়েন, কোন ধরনের ছবি দেখেন, সেসবও।
তিনি বলেন, ‘সংস্থাগুলোর নিজেদের আখ্যান বা দৃষ্টিভঙ্গি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এমন কিছু ক্রিয়াকলাপ আছে; যার নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যও রয়েছে। সরকার হিসাবে আমরা এই বিষয়ে তদন্ত করছি। কারণ এই ধরনের সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমার বিশ্বাস, প্রকৃত তথ্য উদঘাটিত হবে।’
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি এখন ইউএসএআইডি অথবা অন্যান্য সংস্থার ক্ষেত্রে এসব ঘটেছে বলে দেখছি। দেখুন, আপনি ইউএসএআইডির সঙ্গে কাজ করেন বা না করেন, প্রশ্ন সেটি নয়। ভারতে ইউএসএআইডিকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ঐতিহাসিকভাবে। এখানে ইউএসএআইডিকে ভালো কাজ করার জন্য সৎ বিশ্বাসে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে ধরনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে তারা অসৎ উদ্দেশে কাজ করেছে।
জয়শঙ্কর বলেন, ভারতে যদি এই ধরনের কাজ করা হয়ে থাকে, তাহলে এই অসৎ কাজের সঙ্গে কারা কারা জড়িত তা দেশের জানা উচিত।
এ দিকে ভারতের ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে ইউএসএআইডির ২ কোটি ১০ লাখ ডলারের তহবিল নিয়ে করা ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য সম্পর্কে ভারতে তুমুল বিতর্ক চলছে। দেশটির সরকার ও বিরোধীরা ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়াতে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছেন।
এ সময় ভারতে ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করার এক প্রকল্পে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলার পাঠানো হয়েছিল বলে যে তথ্য বেরিয়েছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
যদিও ভারতে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি ওই অর্থায়ন করেছিল অভিযোগে দেশটিতে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে গভর্নরদের নিয়ে আয়োজিত গভর্নর ওয়ার্কিং সেশনস অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইউএসএআইডির অর্থায়নের এই তথ্য প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
দেশটির নতুন দপ্তর ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জানায়, বাংলাদেশের জন্য ইউএসএআইডির ওই সহায়তা বাতিল করা হয়েছে। একই দিন ভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্ধারিত ২ কোটি ১০ লাখ ডলারের কর্মসূচিসহ বিশ্বের ১১টি দেশে আর্থিক সহায়তা স্থগিত করে ডিওজি।