
চাঁদপুর সদরে মসজিদের ভেতরেই কুপিয়ে জখম করা আহত ইমাম ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি এখন আগের চেয়ে সুস্থ আছেন বলে জানিয়ে পরিবার। অন্যদিকে হামলাকারী বিল্লাল হোসেন শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
শুক্রবার চাঁদপুর সদরের প্রফেসরপাড়া মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদে জুমার নামাজে খুতবা ও আলোচনার সময় ইমাম নূর রহমানের বক্তব্যে ক্ষিপ্ত হন ওই এলাকার তরকারির ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন। নামাজ শেষে বিল্লাল চাপাতি নিয়ে মসজিদের ভেতরেই ইমামের ওপর হামলা চালান। পরে মুসল্লিরা আহত অবস্থায় ইমামকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং হামলাকারীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় রাতেই চাঁদপুর মডেল থানায় মামলাটি করেন আহত নূর রহমানের বড় ছেলে আফনান তাকি।
আফনান তাকি বলেন, বাবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে এসেছি। বর্তমানে তিনি হলি কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং শঙ্কামুক্ত। তিনি আরও বলেন, আমার বাবার ওপর বর্বরোচিত হামলার বিচার চাই।
এদিকে বিল্লালকে শনিবার চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাতুল হাসান আল মুরাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসব তথ্য জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল কাদের জিলানি। তিনি বলেন, রোববার বিল্লালকে আবার কোর্টে হাজির করলে ৭ দিন রিমান্ড চাওয়া হবে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আব্দুর রকিব জানান, বিল্লাল নিজেই এই নির্মম কাজটি সম্পন্ন করেছেন। আজ তাকে আদালতে পাঠানো হলে দায় স্বীকার করে তিনি জবানবন্দি দেন।
বিল্লাল ধর্মীয় কোনো উগ্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এমন কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত পাইনি। তদন্ত চলছে।