
নাটোরের লালপুর উপজেলার রেশমা বেগম নামে এক নারী একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তবে জন্মের কিছুক্ষণ পর মারা গেছে দুই নবজাতক। বাকি তিনজন এখনও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রেশমা বেগম লালপুর উপজেলার সাঁইপাড়া গ্রামের দিনমজুর আসিফ হোসেন সবুজের স্ত্রী।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্বাভাবিকভাবে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন তিনি। সন্তানদের মধ্যে ছিল তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। জন্মের অল্প সময় পর মারা যায় এক ছেলে ও এক মেয়ে। পরদিন বুধবার (১ অক্টোবর) সকালে সাঁইপাড়া গ্রামে জানাজা শেষে দুই নবজাতকের দাফন সম্পন্ন হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রেশমা বেগম গর্ভবতী হওয়ার তিন মাস পর লালপুরের একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে। সেখানেই প্রথম তার গর্ভে পাঁচ সন্তানের কথা জানতে পারে। পরে তারা বেশ কয়েকবার রাজশাহীতে ডাক্তারের পরামর্শ নেন।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রেশমা বেগমের প্রসব ব্যথা দেখা দিলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে তিনি একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন। এর মধ্যে তিন ছেলে ও দুই মেয়ে ছিল। জন্মের অল্প কিছুক্ষণ পরই এক ছেলে ও এক মেয়ে মারা যায়। বাকি দুই ছেলে ও এক মেয়ে বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে আছে।
নবজাতকদের বাবা আসিফ হোসেন সবুজ পার্শ্ববর্তী পাবনা জেলার ঈশ্বরদী মিলিটারি ফার্মে দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন।আসিফ হোসেন সবুজ বলেন, বর্তমানে জীবিত ৩ সন্তানের প্রত্যেকেরই ওজন কম। তারা সবাই এখন হাসপাতালের ওয়ার্ডে ভর্তি আছে। দুইজনের ওজন ১২০০ গ্রাম করে, অপরজনের ওজন ৮০০ গ্রাম। ওজন কম থাকায় জীবিত সন্তানদের নিয়েও ডাক্তাররা শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। প্রসবের পর তাদের মা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তবে বর্তমানে তার অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক।