এডিপি বাস্তবায়ন কমেছে ১২ হাজার কোটি টাকা – BanglaNewsBDHub.com |

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo



জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে এডিপির বাস্তবায়ন এক রকম স্থবির হয়ে পড়ে। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে বিভিন্ন  ব্যয় কম হয়েছে ১১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। অবশ্য একক মাসের হিসাবে গত ডিসেম্বরে আগের বছরের একই মাসের চেয়ে ব্যয় ৯০৬ কোটি টাকা বেশি হয়েছে। 

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এ-সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, গত ছয় মাসে এডিপির বিভিন্ন প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ৫০ হাজার ২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয়ের এ পরিমাণ ছিল ৬১ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে বাস্তবায়নের হার ১৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২২ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

আইএমইডির প্রতিবেদন বলছে, গত ছয় মাসের বাস্তবায়নের হার গত ৫ অর্থবছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। একক মাসের হিসাবে সমাপ্ত ডিসেম্বরে ব্যয় হয় ১৫ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। গত বছরের একই মাসে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা। বাস্তবানের হার ৫ দশমিক ৪২ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের এডিপিতে ১ হাজার ৩২৭টি প্রকল্প, ১৭টি উপপ্রকল্প ও উন্নয়ন সহায়তা থোক হিসাবে ৯টি প্রকল্প রয়েছে। এসব প্রকল্পের বিপরীতে মূল এডিপিতে বরাদ্দের পরিমাণ ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নের পরিমাণ ১৩ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকৃত এডিপির আকার ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।
জানা গেছে, বাস্তবায়নে ধীরগতি, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাদ দেওয়া ইত্যাদি কারণে সংশোধিত এডিপিতে ৪৯ হাজার কোটি টাকা ছেঁটে ফেলা হচ্ছে। অর্থাৎ এডিপির আকার দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা।

আইএমইডির  প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ছয় মাসে বিদেশি ঋণ সহায়তা অংশে খরচের খাতা খুলতে পারেনি তিনটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। তারা হচ্ছে– গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং জননিরাপত্তা বিভাগ। এর বাইরে অন্তত ১১টি মন্ত্রণালয় রয়েছে, যাদের গত ছয় মাসে বিদেশি ঋণের উৎসের ব্যয়ের পরিমাণ ৮ শতাংশের মধ্যে সীমিত রয়েছে।

  • এডিপি
  • বাস্তবায়ন
  • মন্তব্য করুন

    আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।