নতুন ফুটবল মৌসুম শুরু হলো এবং এটি বায়ার্ন মিউনিখের জন্য একটি শক্তিশালী প্রমাণের সুযোগ এনে দিল। এসএসভি উলমের বিপক্ষে ৪-০ ব্যবধানে জয় লাভ করেছে বায়ার্ন মিউনিখ, যা নতুন মৌসুমের জন্য তাদের প্রস্তুতি এবং শক্তি প্রদর্শন করেছে।

ম্যাচের শুরু থেকেই বায়ার্ন মিউনিখ আধিপত্য বিস্তার করে। প্রথমার্ধেই থমাস মুলার দুটি গোল করে দলের অবস্থান শক্ত করে দেন। ১১ মিনিটে মুলার প্রথম গোলটি করেন এবং ১৪ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেন। এই দুই গোলের ফলে বায়ার্ন মিউনিখ ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধে, ম্যাচের ৬২ মিনিটে খেলোয়াড়দের পরিবর্তন করা হয়। ম্যাথিস টেল ও জামাল মুসিয়ালা মাঠ থেকে চলে আসেন এবং তাদের জায়গায় কিঙ্কসলে কোমান ও হ্যারি কেন খেলতে শুরু করেন। ৭৬ মিনিটে মাইকেল ওলিসে এবং পালহিনহা বদলি হন সের্গে গ্নাব্রি ও পাভলোভিচের জায়গায়। এই পরিবর্তনগুলো দলের গতি বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৭৯ মিনিটে কিঙ্কসলে কোমান মাইকেল ওলিসের সহায়তায় তৃতীয় গোলটি করেন। এবং ৯০+৩ মিনিটে হ্যারি কেন থমাস মুলারের পাস থেকে শেষ গোলটি করেন। এইভাবে, বায়ার্ন মিউনিখের ৪-০ জয় নিশ্চিত হয়।

বায়ার্ন মিউনিখের নতুন কোচ ভিনসেন্ট কম্পানি তার কৌশল ঠিকঠাক প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়েছেন। থমাস মুলার প্রমাণ করেছেন যে তিনি এখনও দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। নতুন খেলোয়াড় মাইকেল ওলিসে তার প্রথম ম্যাচেই একটি গোলের সহায়তা করেছেন, যা তার দক্ষতা এবং দলের জন্য সম্ভাবনা তুলে ধরেছে।

ম্যাচের সময়কালে কোচ কম্পানির পরিকল্পনা ছিল সঠিক। খেলোয়াড়দের সময়মতো পরিবর্তন এবং দলের সামঞ্জস্য বজায় রাখা তার কৌশল ছিল। তবে, ডিফেন্সিভ খেলোয়াড়দের মধ্যে কিছু সমস্যার ইঙ্গিত দেখা গেছে, যেমন ডায়োট উপামেকানো এবং কিম মিন-জায়ের ভুল।

বায়ার্ন মিউনিখের জন্য এই জয় মৌসুমের ভালো সূচনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দলের নতুন কোচ ভিনসেন্ট কম্পানির নেতৃত্বে এটি একটি বড় পদক্ষেপ। আগামি ম্যাচগুলোতে এই পারফরম্যান্স বজায় রাখা এবং টুর্নামেন্টগুলোতে ভালো ফলাফল আশা করা হচ্ছে।

এখন, বায়ার্ন মিউনিখের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ আসছে এবং তাদের লক্ষ্য থাকবে নিজেদের শক্তি এবং কৌশল আরও উন্নত করা। এই বিজয় তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং পরবর্তী প্রতিযোগিতায় ভালো করতে সাহায্য করবে।