
প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একাদশ শ্রেণি পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে ‘অপহরণে’র পর দলবদ্ধ ধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৪ জুলাই)পুরে উপজেলার মুড়াপাড়া কলেজ মাঠ থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থী স্থানীয় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ালেখা করতেন। ঘটনায় ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগীর বাবা জানান, গত মঙ্গলবার সকালে মুড়াপাড়া কলেজের উদ্দেশে তার মেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। দুপুরে তাদেরকে ফোন দিয়ে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। পরে এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানায় গিয়ে ওসির কাছ থেকে সহযোগিতা চাইলে তিনি লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। লিখিত অভিযোগের পর আব্দুল করিম নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা তাদেরকে সহযোগিতা না করে উল্টো বলেন; তাদের মেয়ে কোনো ছেলের সঙ্গে প্রেম করে চলে গেছে। সেখানে খোঁজ করে দেখার জন্য। পরে বুধবার দুপুরে অজ্ঞান অবস্থায় মুড়াপাড়া কলেজের পেছনে ফেলে রেখে তাদেরকে ফোন করে জানানো হয় মেয়েকে নিয়ে যেতে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে, ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল করিম বলেন, অভিযোগ পেয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত টহল দিয়েছি। যে মোবাইলে ফোন দেওয়া হয়েছিল; সে নম্বরটি বন্ধ ছিল। তারপরও সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। তাদেরকে সহযোগিতা করা হয়নি- এটা সঠিক নয়। দুপুরে উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত যাই। ভিকটিমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, ভিকটিমের পরিবার আমার কাছে আসলে ভিকটিমকে উদ্ধারে আমাদের অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে টাকা চাওয়া নম্বরটি বন্ধ থাকায় উদ্ধার কাজে ব্যাঘাত ঘটে। অপরাধীদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।