আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৫৩ | আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৫৮
কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যা, শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে কার্যকর হবে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিবিসির সংবাদে এ তথ্য প্রচারিত হয়েছে।
ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য অবৈধ অভিবাসন, ফেন্টানিল মাদকের প্রবাহ এবং বাণিজ্য ঘাটতি মোকাবিলা করা। তবে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত তেলের ওপর এই শুল্ক কার্যকর হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
ট্রাম্প আরও জানান, তিনি চীনের ওপরও শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন। যদিও এর হার ও বিস্তারিত তথ্য দেননি। তবে তিনি বলেছেন, চীন থেকে আসা ফেন্টানিল যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক মৃত্যু ঘটাচ্ছে এবং এ কারণে চীনকেও শুল্ক দিতে হবে।
নির্বাচনি প্রচারের সময় ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেও, হোয়াইট হাউজে ফিরে এসে তিনি তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নেননি। বরং প্রশাসনকে বিষয়টি পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেন।
২০১৮ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা পণ্যের আমদানি স্থিতিশীল রয়েছে, যা ট্রাম্পের প্রথম দফার শুল্ক নীতির প্রভাব বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে নতুন করে বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে, কানাডা ও মেক্সিকো জানিয়েছে, তারা মার্কিন শুল্কের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে এবং একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তসংক্রান্ত উদ্বেগ মোকাবিলার আশ্বাস দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত তেলের ওপর শুল্ক আরোপ করা হলে, তাহলে তা জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতির পরিপন্থী হতে পারে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত অপরিশোধিত তেলের ৪০ শতাংশ আমদানি করা হয়, যার বেশিরভাগই আসে কানাডা থেকে।
বাংলানিউজবিডিহাব/এনজে