কুয়েটে অচলাবস্থা কাটেনি, ক্লাসে ফেরেননি শিক্ষকরা – BanglaNewsBDHub.com |

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo



খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করেছে শিক্ষক সমিতি। এ কারণে প্রায় দুই মাস পর রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর কথা থাকলেও হয়নি। এদিন সকালে শিক্ষক সমিতির নেতাদের সঙ্গে অন্তর্বর্তী উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী বৈঠক করলেও কোনো সমাধান হয়নি। এতে কুয়েটে অচলাবস্থা অব্যাহত রয়েছে। এদিকে আজ বেলা ১১টায় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সংগঠনটি ক্লাসে ফেরা-না-ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই হলে চলে এসেছে। তারা চান শিগগিরই যেন বিশ্ববিদ্যালয় সচল হয়। তারা ক্লাসে ফেরার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। তবে যারা অন্যায় করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেন বলেন, ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশৃঙ্খলা ও শিক্ষক লাঞ্ছনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ক্লাস বর্জন করছি আমরা। সোমবার (আজ) সাধারণ সভার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

কুয়েটের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান ভুঞা জানান, সকালে উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষক সমিতির নেতারা বৈঠক করেছেন। তবে কোনো সমাধান হয়নি। আশা করি, দুই দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদলের প্রচারপত্র বিলিকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগতদের সংর্ঘষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পরে কুয়েট ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়াম ও কুয়েট মেডিকেল সেন্টারে দুই দফায় শিক্ষার্থীদের হাতে সাবেক উপাচার্যসহ ৫-৬ জন শিক্ষক শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন। বহিরাগতদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে। এমন পরিস্থিতিতে ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১৪ এপ্রিল রাতে সিন্ডিকেট সভায় রোববার ক্লাস ও হল খোলার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ১৫ এপ্রিল তালা ভেঙে হলগুলোয় প্রবেশ করে। পরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে এক দফা আন্দোলনে নামেন তারা। ১৭ এপ্রিল দুপুর থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ২৪ এপ্রিল রাত দেড়টায় ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সামনে উপাচার্য ও উপ-উপাচর্যকে অব্যাহতির ঘোষণা দিলে আন্দোলনরতরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে। ১ মে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসাবে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এদিকে শিক্ষককে মারধরের ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবি জানায় শিক্ষক সমিতি। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাস বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

  • অচলাবস্থা
  • কুয়েটে
  • ক্লাস
  • শিক্ষক
  • মন্তব্য করুন

    আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।