কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত – কুয়েতে কোম্পানি ভিসা বেতন পরিবর্তন করতে পারে এবং এটি প্রায়ই নির্ধারিত সরকারী নির্ধারণের অধীনে আছে। সাধারণভাবে, সর্বনিম্ন কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন প্রায় ৬০ কুয়েতি দিনার হতে পারে, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২০ হাজার টাকা সমত। তবে, এই বেতনটি সরকার নির্ধারণ করে এবং এটি সময়ে পরিবর্তন হতে পারে। কুয়েতে কোম্পানি ভিসা প্রাপ্তব্য কোন নির্দিষ্ট কাজের জন্য হতে পারে, এবং এটি নির্ধারণ করা হবে সম্প্রতির প্রযুক্তির মাধ্যমে বা কাজের চাহিদা অনুসারে।

কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত

এই বেতনের তথ্যগুলি নিম্নলিখিত সোর্স থেকে নেওয়া হয়েছে:

  • সোর্স 1 (Usajobpoint) দ্বারা জানানো হয়েছে যে কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন হলো ৬০ দিনার বা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২০ হাজার টাকা।
  • সোর্স 2 (Visabd.info) দ্বারা জানানো হয়েছে যে কুয়েতে আপনি যদি লেবার বা শ্রমিক এর কাজ করেন তবুও ১০০ কুয়েতি দিনার বেতন পাবেন প্রতি মাসে, যা বাংলাদেশী টাকায় ৩৫ হাজার টাকার সমান।

এই তথ্যগুলি সম্প্রতির তথ্য এবং আপনি যদি নতুন বা বিস্তারিত তথ্য প্রয়োজন হয়, আপনি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট বা কুয়েতের সরকারের সম্মিলিত তথ্যের জন্য সর্চ করতে পারেন।

কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত

কুয়েত একটি প্রস্পেরণার দেশ, যেখানে মানুষের সংখ্যা সম্প্রতি বেড়ে চলেছে। এই দেশে নির্ধারিত কাজের জন্য কুয়েত কোম্পানি ভিসা প্রযোজ্য হতে পারে এবং এই ভিসার সাথে বেতনের বিষয়ে অনেক মানুষের প্রশ্ন থাকে। এই নিবন্ধে, আমরা আপনাকে জানাতে চাই কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত এবং এটি কীভাবে নির্ধারণ হয়।

কুয়েতে কোম্পানি ভিসা বেতন

কুয়েতে কোম্পানি ভিসা পেতে একজন কাজের জন্য নিয়োগ হতে হয় এবং এই ভিসার সাথে বেতনের বিষয়ে কিছু নির্দিষ্ট তথ্য থাকে। এই তথ্য নির্ধারিত সরকারী নির্ধারণের অধীনে আছে এবং এটি সময়ে পরিবর্তন হতে পারে। সাধারণভাবে, সর্বনিম্ন কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন প্রায় ৬০ কুয়েতি দিনার হতে পারে, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২০ হাজার টাকা সমত। এই বেতনের পরিবর্তন সময়ে হতে পারে এবং সরকারের সিদ্ধান্তের অধীনে থাকে।

কোম্পানি ভিসা পেতে কী কী কাজ করতে হয়?

কোম্পানি ভিসা পেতে কুয়েতে কাজ করতে হয়। কুয়েতে প্রায়ই নির্ধারিত কাজের জন্য ভিসা প্রযোজ্য হয়, যেমন নির্মাণ, শ্রমিকতা, আর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ইত্যাদি। আপনি যদি কোনও নির্দিষ্ট কাজে নিয়োগ প্রাপ্ত করতে চান, তবে আপনাকে ওয়ার্ক পার্মিট প্রাপ্ত করতে হবে।

কুয়েতে কাজ এবং বেতন

কুয়েতে কাজ করতে আপনাকে কোম্পানি ভিসা প্রাপ্ত করতে হবে এবং তারপরে আপনি কোন নির্ধারিত কাজে নিয়োগ প্রাপ্ত করতে পারেন। সর্বনিম্ন কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন হচ্ছে ৬০ কুয়েতি দিনার, যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ২০ হাজার টাকা। তবে, এই সংখ্যা সময়ে পরিবর্তন হতে পারে, এবং আপনার বেতন কাজের ধরণ এবং কাজের চাহিদা অনুসারে পরিবর্তন হতে পারে। আপনি আপনার বেতন নিয়ে আপনার কোম্পানি বা প্রাতিষ্ঠানিক সোর্স থেকে তথ্য প্রাপ্ত করতে পারেন।

কুয়েত কোন কাজের বেতন কত

কুয়েত এ কোন কাজের বেতন কত নিচের টেবিল থেকে দেখে নিন ।

কাজের ধরণকুয়েতি দিনার
শ্রমিক/হেল্পার/ক্লিনার (অদক্ষ)১০০
কসাই (আধা-দক্ষ)১১০
ডেলিভারি বয় (আধা-দক্ষ)১২৫
লন্ড্রি ম্যান/ধোয়াই (আধা-দক্ষ)১০০
নিরাপত্তা প্রহরী/লাইফগার্ড (আধা-দক্ষ)১১০
এসি মেকানিক (দক্ষ)১৩৫
ইলেক্ট্রিশিয়ান (দক্ষ)১২৫
ড্রাইভার (ভারী দায়িত্ব এবং দক্ষ )১৩৫
হাউস বয়১২০
রান্না১২০
গৃহ পরিচারিকা১২০
ওয়েল্ডার১১০
দোকানদার১৫০
কার ওয়াশার১০০
নির্মাণ শ্রমিক১০০
প্লাম্বার১১০

 

কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন

বেতনের পরিমাণ (মাসিক)বাংলাদেশী টাকায় (প্রায়)
৬০ কুয়েতি দিনার২০ হাজার টাকা

 

দ্রষ্টব্য: এই তথ্য সময়ে পরিবর্তন হতে পারে এবং আপনার বেতন কাজের ধরণ এবং কাজের চাহিদা অনুসারে পরিবর্তন হতে পারে।

কুয়েতে বিভিন্ন কোম্পানির বেতনের তালিকা

কুয়েতের বিভিন্ন কোম্পানির তালিকা আপনারা অনেকেই জানতে চান। চলুন আমরা জেনে আসি কুয়েতের বিভিন্ন কোম্পানির তালিকা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। যা নিচে আলোচনা করা হলো।

কুয়েত কোম্পানির তালিকাবেতন
আল আব্রাক কোম্পানি৪০,০০০ থেকে ৬০,০০০ +
আল ফয়সাল৪৫,০০০ থেকে ৬০,০০০ +
ন্যাশনাল কোম্পানি৪০,০০০ থেকে ৭০,০০০ +
আল জাজিরা কোম্পানি৪০,০০০ থেকে ৬০,০০০ +
আব্দুল হামিদ কোম্পানি৪০,০০০ থেকে ৬০,০০০ +
মাজেদ আল আহলে কোম্পানি২৮,০০০ থেকে ৬০,০০০ +
ইউ এফ এম কোম্পানি৩০,০০০ থেকে ৬০,০০০ +
ডিসাইড কোম্পানি৪০,০০০ থেকে ৬০,০০০ +
তানজিকম কোম্পানি৩০,০০০ থেকে ৬০,০০০ +
কেওসি কোম্পানি৪০,০০০ থেকে ৬০,০০০ +
ডায়ানা কোম্পানি৩৫,০০০ থেকে ৬০,০০০ +
আল মার্ককো কোম্পানি৩০,০০০ থেকে ৬০,০০০ +

কুয়েত কোম্পানি ভিসার জন্য কি কি প্রয়োজন

আমরা যারা বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাচ্ছি তাদের অবশ্যই কিছু কাগজপত্র লাগবে। বাংলাদেশ থেকে অনেক তরুণ কোম্পানি ভিসায় কুয়েতে যেতে চায়। কিন্তু কুয়েত কোম্পানির ভিসার জন্য কি কি ডকুমেন্ট লাগবে তা অনেকেই জানেন না। এখান থেকে আপনি জানতে পারবেন কুয়েত কোম্পানির ভিসার জন্য আপনার কি কি ডকুমেন্ট লাগবে।

  • কুয়েতে একটি কোম্পানির ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য, প্রথম প্রয়োজন আপনার প্রতিষ্ঠানের নথি বা নিবন্ধন আছে. 
  • আবেদনের সময় কুয়েতে কোম্পানির নিবন্ধন শংসাপত্রও প্রয়োজন। এটি আপনার কোম্পানির রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানির অফিস থেকে পাওয়া যায়। 
  • আবেদনের সময় আপনাকে বিস্তারিত কোম্পানির প্রোফাইল এবং ব্যবসার তথ্য প্রদান করতে হবে। এটি আপনার কোম্পানির মেয়াদ, সংখ্যা এবং প্রকার, পণ্য বা পরিষেবা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে। 
  • আপনার কোম্পানির আর্থিক অবস্থান প্রমাণ করে আপনাকে একটি কুয়েতি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট প্রদান করতে হবে। 
  • কুয়েতে কোম্পানির ভিসার আবেদনের জন্য আপনাকে একটি পরিচয়পত্র জমা দিতে হবে। এটি আপনার ব্যক্তিগত এবং পেশাগত বিবরণ যেমন পাসপোর্ট নম্বর, ঠিকানা, পেশা ইত্যাদি উল্লেখ করে।

আরো জানতে পারোঃ

কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি

কুয়েত এ বেশীর ভাগ বাংলাদেশী রা যে সমস্ত কাজ করে থাকে এবং যে কাজ গুলোর চাহিদা বেশি নিচে লিস্ট আকারে দেওয়া হল ।

  1. মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার
  2. নাপিত
  3. রেস্টুরেন্ট এর ওয়েটার
  4. ডেলিভারি ম্যান
  5. টেকনিশিয়ান
  6. ক্লিনার
  7. আইটি সেক্টর
  8. সাবান কিপার
  9. ড্রাইভিং
  10. কন্সট্রাকশন
  11. শ্রমিক
  12. সেফ
  13. মসজিদ ক্লিনার
  14. বাগান দেখাশুনা করা
  15. হোটেল বয়

সমাপ্তি

কুয়েতে কোম্পানি ভিসা প্রাপ্ত করতে এবং কোম্পানি কাজ করতে গিয়ে আপনি এই দেশের বেতনের বিষয়ে সরকারী নির্ধারণ অনুসরণ করতে হবে। সর্বনিম্ন কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন প্রায় ৬০ কুয়েতি দিনার, যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ২০ হাজার টাকা সমত। আপনি যদি বেতন সম্পর্কে আরও নির্দিষ্ট তথ্য প্রয়োজন হয়, তবে সরকারী সূত্র বা আপনার প্রাতিষ্ঠানিক সোর্স থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।