কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম জানার আগে চলুন জেনে আসি কিরমি কি কৃমি কেন হয় কিরমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম। এই প্রবন্ধের মূল উদ্দেশ্য হলো যাদের কিরমি আছে তারা কিভাবে কৃমি থেকে নিজেকে নির্মূল করবে তার একটি সঠিক নির্দেশনা।

এই প্রবন্ধের সারসংক্ষেপঃ

  1. কৃমি কি
  2. কৃমি কেন হয়
  3. কৃমির লক্ষণ
  4. কৃমি কি ক্ষতি করে
  5. কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

কৃমি কি 

কৃমি মানুষের শরীরের একটি ক্ষতিকর পরজীবী। সাধারণত এরা মানুষের অন্ত্রে বাস করে শরীর থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে বেঁচে থাকে ও বংশ বৃদ্ধি করে। কৃমির ডিম্বাণু মানুষের মুখের সাহায্যে বা লার্ভা হিসেবে ত্বকের সাহায্যেও প্রবেশ করতে পারে। অনেক সময় কৃমি মানুষের যকৃত বা অন্য কোনো অঙ্গেও আক্রমণ করতে পারে। কৃমি দেখতে অনেকটা কেঁচোর মতো। পরিণত অবস্থায় একটি কৃমি ৬ থেকে ১৪ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়।

কৃমি কেন হয়

কৃমি অনেক কারনে হতে পারে। বিশেষ করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস, অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অর্থাৎ বাসি-পচা খাদ্য খেলে বমি হয়। কৃমির সংক্রমণ নানাভাবে হতে পারে। কৃমির ডিম বাংলাদেশ মুখ, নাক ও পায়ুপথ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়।

কৃমি কি ক্ষতি করে

কৃমি আমাদের শরীরে বসবাস করলে আমাদের শরীরের পুষ্টি শোষণ করে বেঁচে থাকে। যখন আমাদের শরীরে কৃমির মাত্রা বেড়ে যায় তখন যে যে কৃমির লক্ষণ দেখা যায়,

  • পেটে ব্যথা
  • বমি
  • শরীর দুর্বল লাগা
  • ডায়রিয়া
  • রক্তশূন্যতা
  • ওজন কমে যাওয়া

কখন বুঝবেন আপনার কৃমি হয়েছে

যখন আপনার শরীরে কিডনির মাত্রা বেড়ে যাবে তখন যে যে লক্ষণ দেখা যাবে। অর্থাৎ এই লক্ষণগুলো দেখা গেলে আপনি বুঝবেন আপনার কৃমি হয়েছে। কৃমি হওয়ার নানা রকম কারণ হতে পারে, যেমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস, অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ, অস্বাস্থ্যকর পায়খানা ব্যবহার ইত্যাদি।

  • পেটে ব্যথা
  • বমি
  • শরীর দুর্বল লাগা
  • ডায়রিয়া
  • রক্তশূন্যতা
  • ওজন কমে যাওয়া

শিশুদের কৃমির লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে খাওয়ায় অরুচি, আয়রনের ঘাটতি এবং রক্তশূন্যতার কারণে দুর্বলতা, বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, অপুষ্টিতে ভোগা, পেট ফাঁপা ও ডায়রিয়া। কৃমির কারণে অ্যালার্জি, চুলকানি, শ্বাসকষ্ট, কফ-কাশি হতে পারে।

কৃমি প্রতিরোধের উপায়

কৃমি প্রতিরোধ করতে হলে আমাদেরকে প্রথমত জানতে হবে কোন কোন কারণে আমাদের কৃমি হতে পারে। সেই কারণগুলো চিহ্নিত করে ওই কাজগুলো আমরা করব না। যে কাজ করলে আমাদের কৃমি সংক্রমণ হতে পারে। এজন্য কৃমি থেকে নিজেকে মুক্ত করতে হলে;

  • ঘন ঘন হাত সাবান দিয়ে ধুতে হবে
  • বাথরুম ও রান্নাঘর নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে
  • খাবারদাবার ভাল করে সিদ্ধ করে রান্না করতে হবে। কেননা অর্ধসিদ্ধ খাবার থেকে কৃমির ডিম মানুষের শরীরে প্রবেশ করে
  • বছরে একবার কৃমি প্রতিরোধক ঔষধ খেতে হবে

কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

যেহেতু কৃমির সংক্রমণ আছে, সেহেতু কিভাবে নির্মূল করার পদ্ধতি আছে। কৃমির ওষুধ কিভাবে খাবেন খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন।

  • কৃমির ঔষধ যখন খাবেন পরিবারের সবাই একসাথে খাবেন। একসাথে ওষুধ না খেলে কি কৃমি কখনোই নির্মূল হবে না।
  • পরিবারের সকলের কৃমির ডোজ একই।  অর্থাৎ দুই বছরের শিশু থেকে শুরু করে সকল প্রকার মানুষের জন্য কৃমির ঔষধের ডোজ একই।
  • কৃমির ওষুধ খাওয়ার সময় কারো কারো বমি হতে পারে তবে কৃমির ওষুধের কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া নাই।
  • সুস্থ মানুষ বা শিশুরা যদি চার-পাঁচ মাস পরপর কৃমির ওষুধ খায়, তাহলে কোনো ক্ষতি হয় না।
  • শিশু সুতাকৃমি বাদে অন্য কৃমিতে আক্রান্ত হলে মেবেনডাজল ১০০ মিলিগ্রামের একটি বড়ি ১২ ঘণ্টা পরপর তিন দিন বা অ্যালবেনডাজল ৪০০ মিলিগ্রামের একটি বড়ি বা পিপেরাজিন ৪ গ্রামের একটি বড়ি খাওয়াতে হবে।
  • সুতাকৃমি হলে মেবেনডাজল ১০০ মিলিগ্রামের বা অ্যালবেনডাজল ৪০ মিলিগ্রামের বা পিপেরাজিন ৪ গ্রামের একটি বড়ি খাওয়াতে হবে। এর দুই সপ্তাহ পর আরো একটি বড়ি খাওয়াতে হবে।
  • ক্রিমির ওষুধের জন্য শীত বা গ্রীষ্ম কোনো ব্যাপার নয়, যেকোনো সময়ই খাওয়ানো যায়। এতে শিশুর কোনো ক্ষতি হয় না।

আমাদের শেষ কথাঃ আশা করি এই প্রবন্ধের মূল বিষয়টি বুঝতে আর বেশি শব্দের প্রয়োজন নেই। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি এই প্রবন্ধের মূল বিষয়টি তুলে ধরতে। আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটের আরো অন্যান্য তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।