
প্রতীকী ছবি
ঢাকার কেরানীগঞ্জে মোবাইল চুরির ঘটনায় থানায় সালিসি বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার সময় তাজুল ইসলাম নামে এক কুয়েত প্রবাসীকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (৭ জুলাই) মধ্যরাতে ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ের ঝিলমিল আবাসিক এলাকার পাশ থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
নিহত স্বজনরা জানান, তাজুল ইসলামের মেয়ের জামাই সবুজ মোল্লার দুটি মোবাইল চুরি হয়। এ ঘটনায় চোর সন্দেহে তারা দুজনকে থানায় নিয়ে যায়।
সন্ধ্যায় সালিস বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা শেষে থানা থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয় প্রবাসী তাজুল ইসলাম। এরপর খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে ঝিলমিল আবাসিক এলাকার রাস্তার পাশে লাশ পাওয়া যায়।
মেয়ের জামাই সবুজ মোল্লা জানান, আমি ও আমার শ্বশুর একসঙ্গে রাত ৯টার দিকে থানা থেকে বের হয়ে রিকশাযোগে বাড়ির দিকে রওনা দেই। আমি পথিমধ্যে তেঘরিয়া স্ট্যান্ডে রিকশা থেকে নেমে যাই। আমার শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশে রিকশাযোগে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে আমার শাশুড়ি আমাকে ফোন করে জানায় আমার শ্বশুর এখনো বাড়িতে পৌঁছায় নাই। এরপর আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ের ঝিলমিল আবাসিক এলাকার রাস্তার পাশে তার লাশ পাওয়া যায়।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আকতার হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা তদন্ত অব্যাহত আছে।