
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে (২০) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন আশরাফুল ইসলাম সিয়াম (২০) ও জিৎ সরকার (১৯)।
গতকাল শনিবার (৮ মার্চ) রাতে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে পানগাঁও ঋষিপাড়া এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ওই নারীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী ওই নারীকে আজ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছে।
ধর্ষণের সত্যতা নিশ্চিত করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার জাজিরা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. মোশারফ হোসেন মিয়া বলেন, স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে গতকাল বিকেলের দিকে চাঁদপুর থেকে লঞ্চে করে ঢাকায় আসেন ওই নারী। সদরঘাট থেকে পোস্তগোলা আসার পর তাকে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে হাতেনাতে দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় বাকি দুই আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। পরিবারের সঙ্গে ওই নারীর কোনো যোগাযোগ নেই। তার স্বামীর মোবাইলটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি আছেন। আমরা তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনার মধ্যেই কেরানীগঞ্জে এ ঘটনা ঘটল। এর আগে গত ৬ মার্চ মাগুরায় বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছর বয়সী এক মেয়ে শিশু। এ ঘটনায় শিশুটির বড় বোনের শ্বশুরকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া নরসিংদীতে তিনদিন আটকে রেখে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।