
প্রতীকী ছবি
কেরানীগঞ্জে সৎ বাবার হাতে ছেলে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ছেলের নাম মো. রাকিবুল (১৪)। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চুনকুটিয়া বৌ-বাজার এলাকার জনৈক মোশাররফ হোসেনের ভাড়া বাড়িতে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে থানা পুলিশ জাতীয় সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত রাকিবুলের বাবা খাইরুল সরদার মারা যাওয়ার পর তার মা তফুরা খাতুন ঘাতক আজহারুলকে বিয়ে করেছিলেন। মা তফুরা খাতুন ছেলে রাকিবুলকে নিয়ে আজাহারুলের সঙ্গে উক্ত বাসায় ভাড়া থাকতেন। রাকিবুলকে নিয়ে মায়ের সঙ্গে তার সৎ বাবার প্রায়ই ঝগড়া হতো। এ কারণে কিছুদিন আগে নিহত রাকিবুলের মা তার সৎ বাবাকে ডিভোর্স দিয়ে ছেলেকে নিয়ে আলাদা বাসা ভাড়া নিয়ে চলে আসেন।
ঘটনার সূত্রপাত এখান থেকেই হয় ছেলের কারণেই তফুরা খাতুন আজহারকে ডিভোর্স দিয়েছে। এমনটা ভেবেই আজাহারুল সৎ ছেলেকে উঠিয়ে আনে। এদিকে মা ছেলেকে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। দুদিন পর আজহারুল তফুরা খাতুনকে ফোন করে টাকা দাবি করে বলে তোর ছেলে আমার বাসায় আছে।
বিষয়টি তফুরা খাতুন এলাকার কয়েকজনকে জানালে পলাশ নামের এক যুবক আজাহারুলের ঘরের জানালার ফাঁক দিয়ে নিহত রাকিবুলের নিথর দেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরবর্তীতে সে জাতীয় সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন। এরপর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের অবস্থা দেখে ধারণা করা হচ্ছে ২-৩ দিন আগেই শ্বাসরোধ হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের মা তফুরা খাতুন জানান, আমার দ্বিতীয় স্বামী ঘাতক আজহারুল একজন নেশাগ্রস্ত লোক।
সে প্রতিদিন নেশা করে বাসায় ফিরে আমাকে ও আমার ছেলেকে মারধর করত। তাই আমি তাকে ডিভোর্স দিয়ে ছেলেকে নিয়ে অন্য বাসায় বসবাস করতাম। খুনি আমার ছেলেকে দুই দিন ঘরে আটক করে হত্যা করে ফেলে রেখে আমার কাছে টাকা চাইত। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনার পর থেকে আজাহারুল পলাতক রয়েছে। আশা করছি শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায আনা হবে।