অবশেষে ১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর, সেই সঙ্গে বিরাট কোহলিরও। প্রথমবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) শিরোপা ঘরে তুলেছে বেঙ্গালুরু।
ফাইনালে শ্রেয়াস আয়ারের পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপার স্বাদ পেল বেঙ্গালুরু। ২০০৮ সালের শুরুর সময় থেকে বেঙ্গলুরুর হয়ে খেলছেন কোহলি। টুর্নামেন্টের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে এতো বছর একটা ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলছেন কোহলি। এই সময়ে বেঙ্গালুরুর জার্সি গায়ে কতো কী অর্জন করেছেন ভারতীয় ব্যাটিং তারকা। রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন ব্যাট হাতে। কিন্তু শিরোপাটা ছুয়ে দেখা হয়নি এতোদিন।
অধরা সেই শিরোপা দেখা দিল ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে এসে। ‘শেষ’ বলাই যায়। কারণ গত বিশ্বকাপের পরই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন কোহলি। সম্প্রতি ছেড়েছেন টেস্টও। খেলবেন শুধু ওয়ানডে। সেটাও কতদূর চালিয়ে নিতে পারেন সেটাই প্রশ্ন।
এই বয়সেও এই আইপিএলের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কোহলি। ১৫ ম্যাচে করেছেন ৬৫৭ রান। আজ ফাইনাল ম্যাচে অবশ্য ভালো খেলতে পারেননি। ৪৩ রান করলেও তাতে বল খেলেছেন ৩৫টি। কোহলির মতো তার দলের স্কোরও খুব বেশি সন্তোষজনক ছিল না।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ১৯০ রান তুলেছিল বেঙ্গালুরু। আইপিএলে এবার যেভাবে নিয়মিত দুইশোর্ধ্ব রানের স্কোর হচ্ছে তাতে বেঙ্গালুরুর ১৯০ রানকে খুব স্বচ্ছন্দ মনে হচ্ছিল না। তবে পিচ পরে ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন হয়ে যায়।
ম্যাচ শেষে বেঙ্গালুরুর পেসার জস হেজেলউড বলছিলেন, ‘১৯০ রানকেই যথেষ্ট বড় স্কোর মনে হয়েছে আমাদের। কারণ এই পিচে রান তোলা সহজ নয়।’ হয়েছেও তাই, পাঞ্জাব কিংসের হয়ে শশাংক সিং ছাড়া বাকিদের কেউই তুড়েফুড় রান তুলতে পারেননি। নিয়মিত উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পরেছিল দলটি।
২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান তোলে পাঞ্জাব। যাতে ৬ রানের জয় নিশ্চিত হয় বেঙ্গালুরুর। পাঞ্জাবের হয়ে শশাংক সিং ৩০ বলে ৩টি চার ৬টি ছক্কায় ৬২ রান করেছেন। এছাড়া জশ ইংলিশ ২৩ বলে ৩৯ রান করেন।
বেঙ্গালুরু হয়ে ফাইনালে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন ক্রুনালপ পান্ডিয়া। ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান খরচ করে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুটি উইকেট তুলে নিয়েছেন।