থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মাদক বহনের অভিযোগ এনে ছাত্র সংসদের (আকশান) দুই নেতাকে হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সংগঠনটি। তারা বলেন, নিরাপত্তার অজুহাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরাল টিমের কর্মকাণ্ড শিক্ষার্থীদেরকে সাধারণ নাগরিকের বিরুদ্ধে ঠেলে দিচ্ছে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ছাত্র সংসদ। সংগঠনটির সেক্রেটারি মাইন আহমেদ গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তিটি পাঠান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তথাকথিত নিরাপত্তার কথা বলে ‘ক্যাম্পাস টহল’ নামে একটি সংঘবদ্ধ জনতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার বিভিন্ন অভিযোগ গণমাধ্যমে ছাত্র ইউনিয়নের নজরে আসে। এবং সামাজিক মিডিয়া। নিরাপত্তার অজুহাতে প্রক্টরিয়াল টিমের কর্মকাণ্ড শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিকদের দুর্ভোগের কারণ হচ্ছে এবং একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে দাঁড় করাচ্ছে। প্রক্টরিয়াল টিমের অনাকাঙ্ক্ষিত কাজের ধারাবাহিকতায় ৩১ ডিসেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের তিন শিক্ষার্থী, যাদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য, এমন ঘটনার সম্মুখীন হন। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
ছাত্র ইউনিয়নের প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রিডম অ্যান্ড ডেমোক্রেসি টাওয়ারে ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শিমুল কুমার পাল, চারুকলা অনুষদের সদস্য মৃধা রায়ান ও চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাস টহল দল ও বিএনসিসির নেতৃত্বে সংগঠিত জনতা মাদক বহনের জন্য আব্দুল আহাদকে হয়রানি করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পাবলিক স্পেসে নিরাপত্তার অজুহাতে সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত বলয় পুলিশিংকে ‘অসহনশীলতার চরম প্রকাশ’ আখ্যা দিয়ে সার্কুলারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডিকে এর মাধ্যমে নৈতিক পুলিশিং বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। সংগঠিত জনতা, যাকে বলা হয় ক্যাম্পাস প্যাট্রোল, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের বাইরে।