
পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাসকে পুলিশি হেফাজত থেকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তর (কেএমপি) ঘেরাও করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা। একইসঙ্গে কেএমপির প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে তারা।
আজ বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে কেএমপি কার্যালয় ঘেরাও করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ও ‘ছাত্রজনতা’। জুলাই অভ্যুত্থানে হামলার অভিযোগে এসআই সুকান্ত দাশকে আটকের পরে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার দুপুরে এই কর্মসূচি শুরু হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগের এক দফা দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এছাড়া মূল ফটকের সামনের সড়ক অবরোধ করে রাখে তারা। ফলে রূপসা থেকে শহরে প্রবেশ পথ বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে মহানগরীর ইস্টার্নগেট এলাকা থেকে সুকান্তকে খানজাহান আলী থানা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে তাকে আর কোনো থানায় পাওয়া যায়নি। অভিযোগ উঠেছে সুকান্তকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কেএমপি সূত্রে জানা গেছে, এসআই সুকান্ত দীর্ঘদিন সোনাডাঙ্গা থানায় কর্মরত ছিলেন। ২০২৩ সালে তাকে খুলনা সদর থানায় বদলি করা হয়। গণঅভ্যুত্থানের পর প্রথমে তাকে ঢাকায় ও পরে চুয়াডাঙ্গায় বদলি করা হয়। একটি মামলার সাক্ষ্য দিতে মঙ্গলবার তিনি খুলনায় আসেন। সাক্ষ্য দিয়ে ফেরার পথে তাকে মারধর করা হয়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, ‘এসআই সুকান্ত একজন পুলিশ সদস্য, পলাতক নয়। তিনি এখন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের আন্ডারে আছে। তাই পুলিশ সুপার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে যদি কোনো অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্যবস্থা নিতে হয় তাহলে সেটা নিতে পারে।’
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবীর হোসেন বলেন, গতকাল এস আই সুকান্ত আদালতে সাক্ষী দিয়ে বাইকযোগে কর্মস্থলে ফিরছিলেন। এসময় শিরোমণি এলাকায় পৌছালে স্থানীয়রা তাকে মারধর করে। এসময় পুলিশ ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তিনি চলে যান। তার বিরুদ্ধে খান জাহান আলী থানায় কোনো অভিযোগ নেই।