
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তির অভিযোগ তুলে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও নির্যাতনের ঘটনার বিচার দাবি করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। গতকাল মঙ্গলবার পরিষদের একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে এ দাবি জানান।বুধবার (৩০ জুলাই) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এসব কথা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ বলেন, গত ২৬ জুলাই রংপুর আইটিসি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র রঞ্জন রায়ের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানার পরই রঞ্জনের বাবা সুজন রায় ছেলেকে থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তারপরও রাত ৮টার দিকে আশপাশের এলাকা থেকে ৬-৭ শ লোক উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে হিন্দুপাড়ায় হামলা চালায়। তারা রঞ্জনের বাড়িসহ চারটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
পরদিন ২৭ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আরও প্রায় ৩-৪ হাজার লোক ফের হিন্দুপাড়ায় হামলা চালায়। তারা আরও ১৮টি পরিবারের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে, গরু-ছাগলসহ মালামাল লুট করে এবং আখের জমি নষ্ট করে দেয়।
এই প্রেক্ষাপটে মনীন্দ্র কুমার নাথের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এরপর তাঁরা রংপুর জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান। একই সঙ্গে স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণেরও দাবি জানিয়েছেন।
প্রতিনিধিদলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল বর্মণ, রংপুর জেলা ও মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার রায় ও অলোক কুমার নাথ, যুব ও ছাত্র ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি শিমুল সাহা ও সজীব সরকার, সন্তু সাহা প্রমুখ।