
গোপালগঞ্জে পাঁচ যানবাহনের সংঘর্ষে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। রোববার (১৫ জুন) ভোর চারটার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপীনাথপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গোপালগঞ্জ গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. মাকসুদুর রহমান মোরাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। দায়ী যানবাহন জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার রাত আটটার দিকে খুলনার উদ্দেশে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে বলেশ্বর পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নিয়ে রওনা দেয়। ভোর চারটার দিকে মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাককে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় বাসটি। এ সময় একই দিক থেকে আসা আরমান পরিবহন ও এসপি গ্রিনলাইনের বাস এবং একটি প্রাইভেট কার দুর্ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে।
দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের এটিএসআই রফিকুজ্জামান ও আরমান পরিবহনের চালকের সহকারী সেলিম হোসেন ব্যাপারী। তিনি খুলনার সোনাডাঙ্গার দেবেনবাবু রোডের আবদুল হামিদ ব্যাপারীর ছেলে।
আহত ব্যক্তিদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহত ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক উত্তম রায় বলেন, ভোর থেকেই আহত রোগী আসতে শুরু করে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে বলেশ্বর পরিবহনের চালক ইব্রাহিম ও সহকারী রোহানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বলেশ্বর পরিবহনের যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি গাড়িতে ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনি, সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়। গাড়ি থেকে নেমে দেখি আরমান পরিবহনের সহকারী ঘটনাস্থলে মারা গেছেন।