‘দুর্নিতি নিবারণ সাহাগ সংস্থা’ নামে একটি প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সরকারি কর্মচারীদের আড়ালে অভিযান চালায়, জরিমানা আদায় ও চাঁদাবাজি করত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বিকেলে সেগুনবাগিচা দুদক কার্যালয় থেকে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। দুদকের মহাপরিচালক আখতার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের মহাপরিচালক বলেন, মিথ্যা পরিচয় দেওয়া দুদকের কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক চক্রের দুই সদস্য অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন। পরে তাদের স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করে পল্টন থানায় অজ্ঞাত আট আসামিসহ ১৪ জনের নামে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা দুর্নীতি দমন সংস্থার কথিত নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম সম্রাট, সংস্থার পরিচালক (অপারেশন) মো. রায়হান ওরফে সৈয়দ রায়হান, নেত্রকোনার সাইফুল ইসলাম। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পটুয়াখালীর সোলায়মান মুফতি, সিয়াম মাহমুদ মোবারক, হবিগঞ্জের রনি আহমেদ পায়েল। এছাড়া অজ্ঞাত আরো আটজনকে আসামি করা হয়েছে।
দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে নগদ পাঁচ লাখ টাকা এবং বাকি ১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।