সফরের প্রথম দুই সিরিজ হেরে ব্যাকফুটে ছিলেন তারা। টি-২০ সিরিজ শুরুর আগে অধিনায়ক লিটন দাস বলেছিলেন, শেষ সিরিজটা জিতেই বাড়ি ফিরতে চান তারা। লিটন ও বাংলাদেশ দল কথা রেখেছে। পিছিয়ে পড়েও সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ দাপটের সঙ্গে জিতেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছেন তারা। সিরিজ জয়ের পর লিটন জানিয়েছেন বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর রহস্য।
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে আশা জাগিয়েও সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। টি-২০ সিরিজটাও শুরু হয়েছিল হারের হতাশা দিয়ে। তবে শেষ দুই ম্যাচে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে সিরিজটা নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
ম্যাচ জয়ের পর অধিনায়ক লিটন জানিয়েছেন, ‘মানসিকভাবে কখনোই পিছিয়ে কখনও ছিলাম না। আপনি প্রতিদিন আপনার অফিসেও খুব একটা ভালো ফিল করবেন না। ক্রিকেটটা মাঝেমধ্যে একটু ‘ফিলিংসেরও’ দরকার আছে। আমার মনে হয়, যেহেতু রান পাচ্ছিলাম না বড় ইনিংসে। টেস্টে রেগুলার খেলছি এবং টুকটাক হচ্ছিল। ওয়ানডেতে অনেক দিন হচ্ছিল না। চেষ্টা করেছি ১০০% দেওয়ার। তিন ফরম্যাটে মাইন্ডসেট ভিন্ন থাকে। এই ফরম্যাটে অনেক দিন ধরে খেলছি, কীভাবে খেলতে হয়, দল কীভাবে আগায়ে নিতে হয়। এই ফরম্যাটে কখনও আমার অই চাপটা ছিল না যে আমি আগে কিছু করে আসি নাই। সবসময় মনে হয়েছে, আমরা তো পাকিস্তান সিরিজ খেলেছি। হয়তবা সিরিজ জিততে পারিনি, তবে সবাই মোটামুটি ভালো ক্রিকেট খেলেছি।’
লিটন আরও বলেন, ঘুরে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বাস তাদের ছিল, ‘সবসময় চেষ্টা থাকে ১০০% দেওয়ার। অনুশীলনও করি। বিশ্বাস সবসময় ছিল। ১০ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি। আমার মনে হয়, একটা ছিল ‘হাঙ্গারনেস’। যেহেতু অনেক দিন ধরে রান করতেসিলাম না। চেষ্টা ছিল সুযোগ কখন আসব। সেই সুযোগ কীভাবে কাজে লাগাতে পারি। দ্বিতীয় ম্যাচ অনেক প্লাস পয়েন্ট ছিল। দল হিসেবে যখন ম্যাচ জিতবেন, আমার মনে হয় এমনিই একটা আলাদা চেহারা চেঞ্জ হয়ে যায়। দ্বিতীয় ম্যাচ অনেক বড় ব্যবধানে জেতা। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ৮৩ রানে জেতা সবসময় বড় অর্জন। আত্মবিশ্বাস সবার মধ্যেই ছিল, দল হিসেবে। আমরা বিশ্বাস করি আমরা ভালো ক্রিকেট খেললে জিততে পারব।’