
চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানা থেকে পার্বত্য সশস্ত্র গ্রুপ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ইউনিফর্ম হিসেবে ২০ হাজার ৩০০টি পোশাক জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কারখানার মালিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারেরা হলেন শাহেদুল ইসলাম, গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার।গত ১৭ মে রাতে বায়েজিদ বোস্তামী থানার নয়ারহাট এলাকার রিংভো অ্যাপারেলসে অভিযান চালিয়ে এগুলো জব্দ করা হয়।
রোববার (১৯ মে) বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলেও, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি স্বীকার করেনি। তবে সিএমপির একাধিক কর্মকর্তা অনানুষ্ঠানিকভাবে অভিযানের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শাহেদুল ইসলাম কারখানার মালিক, আর গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার ইউনিফর্ম তৈরির অর্ডার দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ একে ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করে ঘটনাটি অস্বীকার করেন।তবে সিএমপির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্ত নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা বিপুল পরিমাণ ইউনিফর্ম জব্দ করেছি এবং তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
এ ঘটনায় গত ১৮ মে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় নগর গোয়েন্দা শাখার সাব-ইন্সপেক্টর ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা (নং-৪২) দায়ের করেছেন। মামলার একটি অনুলিপি টিবিএস-এর হাতে রয়েছে। মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার মার্চ মাসে ইউনিফর্মের অর্ডার দেন।
দাবি করা হয়েছে তারা মংলাসিন মারমা ওরফে মং-এর পক্ষে কাজ করছিলেন। চুক্তির মূল্য ছিল প্রায় ২ কোটি টাকা।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কেএনএফ সদস্যরা আগে থেকেই মংলাসিনের কাছে নমুনা ইউনিফর্ম সরবরাহ করেছিলেন এবং এই মাসেই ফাইনাল ডেলিভারি হওয়ার কথা ছিল।
এ বিষয়ে জানতে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোনে সাড়া দেননি।