চট্টগ্রামের আদালতে ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথি (কেস ডকেট বা সিডি) পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে দোকানের গোডাউন থেকে চট্টগ্রাম আদালত থেকে চুরি হওয়া নথিপত্রের ৯ ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় একজনকে আটক করা হয়।
গত ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে প্রায় দুই বছর ধরে রাখা ১ হাজার ৯১১টি কেস ডকেট চুরি হয়। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম মহানগরের পিপি অ্যাডভোকেট মফিজুল হক বাদী হয়ে ওই দিন ও রাতে ভূঁইয়া কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেন।
জিডিতে বলা হয়, হত্যা, মাদক, চোরাচালান, অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ প্রায় এক হাজার ৯১১টি মামলার নথি পাওয়া যাচ্ছে না। এগুলি হল মেট্রোপলিটন পিপির এখতিয়ারাধীন অন্তত 30টি আদালতে বিচারাধীন মামলার রেকর্ড। আইনজীবীরা বলছেন, হত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলার এসব নথি বিচারিক কাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কাগজপত্র না পাওয়ায় গত রোববার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক কাউন্সেল (পিপি) মফিজুল হক ভূঁইয়া নগরীর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অফিসে ২৮ থেকে ৩০টি কোর্ট কেস ডকেট রাখা হয়েছে। পিপি অফিসে স্থান স্বল্পতার কারণে, 24 এপ্রিল, 2023 থেকে, 1,911টি মামলার কেস ডকেট পিপি অফিসের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় পলিথিনে মুড়ে রাখা হয়েছিল।
আদালতের ছুটিতে অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাগজপত্র হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের আবেদন করা হয়েছে।
সরকারি কৌঁসুলি মফিজুল হক ভূঁইয়া বলেন, কাগজপত্র রাখার জন্য কক্ষ নেই। রুম চাওয়া হয়েছে। তাই কাগজপত্র সেখানে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আমার রুম নথিপত্রে ভর্তি রয়েছে বলে জানান তিনি।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম জানান, মহানগর পিপি কার্যালয়ের সামনে রাখা এক হাজার ৯১১টি মামলার নথি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় করা জিডি তদন্ত করছে পুলিশ।