চুয়াডাঙ্গার ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানাকে (৪০) চাঁদাবাজির সময় আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর কোর্ট মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে চুয়াডাঙ্গা শহরের মুক্তিপাড়ার জামাত আলীর ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মুক্তিপাড়ার নুরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি বাড়ি নির্মাণ করছেন। গত ৫ আগস্ট থেকে সোহেল রানাসহ ১০ থেকে ১২ জনের একদল চাঁদাবাজ তার নির্মাণাধীন বাড়িতে গিয়ে কাজ বন্ধের হুমকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। টাকা না নিয়ে আসামিরা জোরপূর্বক ৬টি গাড়ি ইট, ২ টন রড ও ৩০ পিস সেফটি কাঠ নিয়ে যায়। নুরুজ্জামান বিষয়টি তার আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের জানালে চাঁদাবাজ চক্র তার পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়।
গত সোমবার (৬ জানুয়ারি) আবারও জোরপূর্বক দুই হাজার ইট ছিনিয়ে নেয় চাঁদাবাজ চক্র। পরে নুরুজ্জামান ভয় পেয়ে বাকি ৬০ হাজার ইট বিক্রি করে বাড়ি তৈরি করেন। মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) দুপুরে ট্রাকে করে ইট সরানোর সময় সোহেল রানাসহ কয়েকজন বাধা দেন এবং ১০ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে ইট সরাতে দেবেন না বলে জানান। পরে নুরুজ্জামান বিষয়টি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে সদর থানার এসআই বাবুল খান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কোর্ট মোড় এলাকার ঘটনাস্থল থেকে সোহেল রানাকে আটক করে থানা হেফাজতে নেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নুরুজ্জামানের স্ত্রী আরিফা পারভীন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা করেন।
এদিকে গ্রেফতারকৃত সোহেল রানার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অনেক অভিযোগ থাকলেও ভয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি বলে জানা গেছে। চুয়াডাঙ্গা শহরের একাধিক স্থানে তার বিরুদ্ধে এমন চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। গত ৫ আগস্ট থেকে সোহেল রানাসহ ১০ থেকে ১২ জনের একদল চাঁদাবাজ বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের চাঁদাবাজি করছে বলে গুঞ্জন ছিল।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সদর থানার একটি দল অভিযান চালিয়ে সোহেল রানা নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় নিহত নুরুজ্জামানের স্ত্রী আরিফা পারভীন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তার বিরুদ্ধে আগের কোনো অভিযোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ সংক্রান্ত মামলায় বুধবার (৮ জানুয়ারি) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান তিনি।