
মাদারীপুরে চোর সন্দেহে তিনজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। এসময় সন্দেহভাজনদের মধ্যে একজনের চোখ তুলে ফেলার চেষ্টা করে বিক্ষুব্ধরা। রোববার (১০ আগস্ট) ভোররাতে সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম মাঠ বাঘাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গণপিটুনিতে আহতরা হলো- পশ্চিম মাঠ বাঘাবাড়ি এলাকার ওয়াজেদ শেখের ছেলে জাকির শেখ (৫০), একই এলাকার আলতাব মাতুব্বরের ছেলে ইস্রাফিল মাতুব্বর (৪০) ও শ্রীনদী রায়েরকান্দি গ্রামের সিরাজ শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার (২৫)। এরমধ্যে গুরুতর আহত জাকির শেখকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চুরি-ডাকাতি রোধে সদরের ‘পশ্চিম মাঠ বাঘাবাড়ি’ এলাকায় নিয়মিত পাহারার অংশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন স্থানীয় যুব সমাজ। রোববার ভোররাতে ওই এলাকায় তিনজনচজ রহস্যজনকভাবে চলাফেরা করতে দেখে ধাওয়া দেয় পাহারাদাররা। এক পর্যায়ে ওই তিনজনকে ধরে গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। এ সময় জাকির শেখের দু’চোখ তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষুব্ধরা।
পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে হেফাজতে নেয় সদরের শ্রীনদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক বেল্লাল হোসেন ও তার সঙ্গীয় সদস্যরা। সবশেষ তাদের মদ্যে দুজনকে সদর মডেল থানায় পাঠানো হয় এবং গুরুতর জাকির শেখকে প্রথমে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে।
জাকির শেখের স্বজন রেজাউল করিম অভিযোগ করে বলেন, ‘এক এলাকা থেকে একজন মানুষ অন্য এলাকায় যেতেই পারে। তাই বলে কি তাকে মারধর করতে হবে। দেশে পুলিশ প্রশাসন আছে, তাদের কাছে দিতে পারত। এছাড়া দুটি চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। চোখ দুটি হয়ত রক্ষা পাবে না। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।’
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আদিল হোসেন জানান, ‘আটক দুজন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এছাড়া একজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়েছেন চিকিৎসক। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’