ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে অটোচালককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ – BanglaNewsBDHub.com |

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo



প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মূনঈমুল ইসলাম মিরাজের বিরুদ্ধে মো. সুজন হাওলাদার (৩০) নামে এক অটোরিকশার চালককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৫টায় উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত সুজন মদনপুরা ইউপির বীরপাশা গ্রামের নবী আলী হাওলাদারের ছেলে। অভিযুক্ত মূনঈমুল ইসলাম মিরাজ কনকদিয়া ইউপির নারায়ণপাশা গ্রামের মঞ্জু হাওলাদারের ছেলে এবং কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হাওলাদারের ভাতিজা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেলে বীরপাশা বাজারে নিজের অটোরিকশায় বসা ছিলেন সুজন। এ সময় হঠাৎ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মূনঈমুল ইসলাম মিরাজ, তার ছোট ভাই মোরসালিন ইসলামসহ ৮-১০ জন সুজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। রাজনৈতিক পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মিরাজুল ইসলাম বলেন, সুজনের শরীরের ডান পায়ে তিনটি স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত এবং পিঠের বাঁ পাশে একটি ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আমাদের প্রাথমিক ধারণা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে আনার প্রায় ২৫ মিনিট আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

নিহত সুজন হাওলাদারের বাবা নবী আলী হাওলাদার বলেন, জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যানের ভাতিজারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। আমার ছেলেকে মানুষজন সাহায্য করে একটি অটোরিকশা কিনে দিয়েছিল। অটো চালিয়ে সংসার চালাত সে। তারা কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাও আমরা জানি না।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি মিরাজ ও তার ভাইসহ কয়েকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে কী কারণে ঘটলো তা জানতে পারিনি। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।

  • অটোচালক
  • অভিযোগ
  • ছাত্রদল নেতা
  • হত্যা
  • মন্তব্য করুন

    আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।