জয়দেবপুর টু এয়ারপোর্ট ট্রেনের সময়সূচীঃ আপনি কি জয়দেবপুর টু এয়ারপোর্ট ট্রেনের সময়সূচী খুঁজছেন অনলাইনে? আশা করি আমরা আপনাকে জয়দেবপুর টু এয়ারপোর্ট ট্রেনের সময়সূচী এর সঠিক তথ্য তুলে ধরব।
এখানে আপনি জয়দেবপুর থেকে এয়ারপোর্ট ট্রেনের সময়সূচী এর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন। এখানে আপনি জয়দেবপুর থেকে বিমানবন্দর ট্রেনের সময়সূচী টিকট, ভাড়ার তালিকা ইত্যাদি পেতে পারেন।
আমার মনে হয় এই নিবন্ধটি আপনাকে জয়দেবপুর থেকে এয়ারপোর্ট এর সকল তথ্য জানতে সহায়তা করবে। আপনার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সংগ্রহ করতে পোষ্টটি ভালভাবে পড়ুন।
জয়দেবপুর টু এয়ারপোর্ট ট্রেনের সময়সূচী
রেলওয়ে তথ্য অনুযায়ী, জয়দেবপুর টু এয়ারপোর্ট বারোটি ট্রেন চলাচল করে। বারোটি জয়দেবপুর থেকে এয়ারপোর্ট ট্রেনের নাম হলঃ
জয়দেবপুর থেকে বিমানবন্দরঃ
- কতা এক্সপ্রেস (৭০৬),
- সুন্দরবন এক্সপ্রেস (৭২৫),
- যমুনা এক্সপ্রেস (৭৪৬),
- লালমনি এক্সপ্রেস (৭৫২),
- সিল্কসিটি এক্সপ্রেস (৭৫৪),
- দ্রুতযান এক্সপ্রেস (৭৫৮),
- পদ্মা এক্সপ্রেস (৭৬০),
- নীলসাগর এক্সপ্রেস (৭৬৬),
- ধূমকেতু এক্সপ্রেস (৭৭০),
- সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস (৭৭৫),
- হাওর এক্সপ্রেস (৭৭৮),
- জামালপুর এক্সপ্রেস (৮০০)
জয়দেবপুর থেকে বিমান বন্দর রুটে বারোটি আন্তঃনগর ট্রেন রয়েছে। একতা এক্সপ্রেস (৭০৬), সুন্দরবন এক্সপ্রেস (৭২৫), যমুনা এক্সপ্রেস (৭৪৬), লালমনি এক্সপ্রেস (৭৫২), সিল্কসিটি এক্সপ্রেস (৭৫৪), দ্রুতযান এক্সপ্রেস (৭৫৮), পদ্মা এক্সপ্রেস (৭৬০), নীলসাগর এক্সপ্রেস (৭৬৬), ধূমকেতু এক্সপ্রেস (৭৭০), সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস (৭৭৫), হাওর এক্সপ্রেস (৭৭৮), জামালপুর এক্সপ্রেস (৮০০) ইত্যাদি ট্রেনগুলি বিলাসবহুল।
বারোটি ট্রেনগুলিতে ভালমানের সেবার ব্যবস্থা রয়েছে। যে সকল সুযোগ-সুবিধা পাবেন এই বারোটি ট্রেনের মধ্যে, যেমনঃ খাবার ক্যান্টিন, বিনোদনের ব্যবস্থা, নামাজ ঘর ইত্যাদি। তাই আপনি যদি এই রুটে আন্তঃনগর ট্রেনে ভ্রমণ করেন, তবে আপনি ভ্রমণটি খুব উপভোগ করতে পারবেন।
ট্রেনের সময়সূচী এবং ছুটির সম্পর্কিত ছক নিচে দেওয়া হয়েছে।
ট্রেনের নাম | ছুটির দিন | ছাড়ায় সময় | পৌছানোর সময় |
একতা এক্সপ্রেস (৭০৬) | নাই | ০৬ঃ৫০ | ০৭ঃ২৫ |
সুন্দরবন এক্সপ্রেস (৭২৫) | মঙ্গলবার | ০৫ঃ৫৭ | ০৬ঃ২৫ |
যমুনা এক্সপ্রেস (৭৪৬) | নাই | ০৬ঃ২০ | ০৬ঃ৫০ |
লালমনি এক্সপ্রেস(৭৫২) | শুক্রবার | ১৮ঃ৪৭ | ১৯ঃ৫৫ |
সিল্কসিটি এক্সপ্রেস(৭৫৪) | রবিবার | ১২ঃ২৫ | ১২ঃ৫৩ |
দ্রুতযান এক্সপ্রেস (৭৫৮) | নাই | ১৭ঃ৫৬ | ১৮ঃ২২ |
পদ্মা এক্সপ্রেস (৭৬০) | মঙ্গলবার | ২০ঃ৩৬ | ২১ঃ০৯ |
নীলসাগর এক্সপ্রেস (৭৬৬) | রবিবার | ০৪ঃ২৭ | ০৪ঃ৫৩ |
ধূমকেতু এক্সপ্রেস (৭৭০) | শুক্রবার | ০৩ঃ৪০ | ০৪ঃ০৭ |
সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস (৭৭৫) | শনিবার | ০৯ঃ১৫ | ০৯ঃ৪২ |
হাওর এক্সপ্রেস (৭৭৮) | বৃহস্পতিবার | ১২ঃ৪০ | ১৩ঃ০৫ |
জামালপুর এক্সপ্রেস (৮০০) | নাই | ২২ঃ৪০ | ২২ঃ৫৬ |
জয়দেবপুর টু বিমান বন্দর ট্রেনের সময়সূচী (মেইল এক্সপ্রেস)
মহুয়া কমিউটার (৪৪), দেওয়ানগঞ্জ কমিউটর (৪৮), বালাকা এক্সপ্রেস (৫০), জামালপুর কমিউটর (৫২) ও ভাওাল এক্সপ্রেস (৫৬) নামে কয়েকটি মেইল এক্সপ্রেস ট্রেন এরুটে চলাচল করে থাকে। এসকল ট্রেনের ভ্রমণ খরচ আন্তঃনগর ট্রেনের তুলনায় অনেক কম। নিয়ামিত যাতায়াতের জন্য মেইল এক্সপ্রেস ট্রেন সেরা। এছাড়া ট্রেনগুলি প্রতিদিনই চলাচল করে।
নিচে মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনের জয়দেবপুর ষ্টেশন থেকে ছাড়ার সময় ও বিমান বন্দর পৌঁছানোর সময়সূচী দেওয়া হয়েছে। নিচের ছক থেকে ট্রেনগুলির সময় জেনে নিন এবং ঝামেলাবিহীন ভ্রমণ করুণ।
ট্রেনের নাম | ছুটির দিন | ছাড়ায় সময় | পৌছানোর সময় |
মহুয়া কমিউটার (৪৪) | নাই | ২০ঃ০৫ | ২০ঃ৪০ |
দেওয়ানগঞ্জ কমিউটর (৪৮) | নাই | ১৮ঃ১২ | ১৮ঃ৪৯ |
বালাকা এক্সপ্রেস (৫০) | নাই | ১৬ঃ১৯ | ১৭ঃ০৭ |
জামালপুর কমিউটর (৫২) | নাই | ১০ঃ১৬ | ১০ঃ৪২ |
ভাওাল এক্সপ্রেস (৫৬) | নাই | ০৯ঃ৪২ | ১১ঃ২২ |
জয়দেবপুর টু বিমান বন্দর ট্রেনের ভাড়ার তালিকা
আমরা সকলেই জানি ট্রেন ভ্রমণ অন্য সকল যানবাহণে ভ্রমণের চেয়ে সস্তা। বিশেষ করে মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের মূল্য অনেক কম হয়ে থাকে। আন্তঃনগর ট্রেনে বিশেষ সুবিধা ও বিলাসবহুল হওয়ায় এর ভাড়া তুলনামূলক বেশী হয়। তবে বিলাসবহুল ও দ্রুত যাত্রার জন্য আন্তঃনগর ট্রেন সেরা।
আপনি যদি জয়দেবপুর থেকে বিমান বন্দর রুটের ট্রেনের টিকিটের মূল্য জানতে চান তবে নিচের ছক ভালভাবে দেখে নিন। এতে আসন বিভাগের অনুসারে ক্রমান্বয়ে টিকিটের মূল্য তালিকা দেওয়া হয়েছে।
আসন বিভাগ | টিকেটের মূল্য (১৫%ভ্যাট) |
শোভন | ৪৫ টাকা |
শোভন চেয়ার | ৫০ টাকা |
প্রথম সিট | ৯০ টাকা |
প্রথম বার্থ | ১১০ টাকা |
স্নিগ্ধা | ১০০ টাকা |
এসি সিট | ১০০ টাকা |
এসি বার্থ | ১৩০ টাকা |
আরো পড়ুনঃ
সর্তকতাঃ ট্রেন ভ্রমণ করার সময় আপনাকে অবশ্যই সর্তকতা অবলম্বন করে ট্রেনে উঠতে হবে। ট্রেনে ওঠার সময় কখনই তাড়াহুড়া করা যাবে না। ট্রেনে ওঠার পুর্বে আপনার টিকিট নিশ্চিত করতে হবে যে আপনি টিকিট সরবরাহ করেছেন কিনা।
ট্রেন চলাকালীন সময় মাথা অথবা হাত বাইরে দেওয়া যাবে না। ট্রেনের ছাদের উপরে অবস্থান করা যাবে না। টিকেট কেনার পর ট্রেন ছাড়ার আধাঘন্টা পূর্বে রেলস্টেশনে উপস্থিত হতে হবে। আপনার প্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রেনে তুলেছেন কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে।