দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৪ সালের শেষ কিংবা ২০২৪ সালের শুরুতে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
২০২১ সালের ১২ এপ্রিল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পুরোটাই ইভিএমে ভোট করার ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। ৯ সেপ্টেম্বর নিজ দলকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
সংবিধানের বিদ্যমান ব্যবস্থায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সংসদ বহাল থাকাবস্থায় বর্তমান ক্ষমতাসীন দলীয় সরকারের অধীন ২৯ জানুয়ারি ২০২৪-এর অব্যবহিত ৯০ দিন পূর্ববর্তী সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে তড়িঘড়ি করে গত ২৯ জানুয়ারি ২০২২ নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইনটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়।
জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের নিয়ম:
বাংলাদেশ জাতীয় পরিষদ (জাতীয় সংসদ) নির্বাচনের বিধি ও প্রবিধান বাংলাদেশের সংবিধান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এবং নির্বাচন কমিশন আইন দ্বারা পরিচালিত হয়।
- যোগ্যতা: জাতীয় পরিষদের একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য একজন প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং তার বয়স কমপক্ষে ২৫ বছর হতে হবে। RPO দ্বারা নির্দিষ্ট করা নির্দিষ্ট শিক্ষাগত এবং আর্থিক যোগ্যতাও তাদের অবশ্যই পূরণ করতে হবে।
- প্রচারণা: রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটারদের সমর্থন পেতে প্রচারণা চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়। প্রচারাভিযানে সাধারণত সমাবেশ, জনসাধারণের বক্তৃতা এবং প্রচার সামগ্রী যেমন পোস্টার এবং লিফলেট বিতরণ জড়িত থাকে।
- ভোটার নিবন্ধন: নির্বাচনের দিনে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী সকল নাগরিক ভোট দেওয়ার যোগ্য। ভোটার তালিকা রক্ষণাবেক্ষণ এবং ভোটার আইডি কার্ড দেওয়ার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।
- ব্যালট পেপার: ব্যালট পেপার ছাপানো ও বিতরণ করা হয় নির্বাচন কমিশন। ব্যালট পেপারে প্রার্থীদের নাম, প্রতীক ও ছবি থাকে।
- ভোটদান: নির্বাচনের দিন সাধারণত সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের অবশ্যই তাদের ভোটার আইডি কার্ড ভোট কেন্দ্রে উপস্থাপন করতে হবে।
- গণনা এবং ফলাফল ঘোষণা: ভোট গণনা ভোট শেষ হওয়ার সাথে সাথেই হয়। প্রতিটি আসনের রিটার্নিং অফিসার ফলাফল ঘোষণা করেন। যে রাজনৈতিক দল বা জোট সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে এবং সেই দল বা জোটের নেতা প্রধানমন্ত্রী হন।
- আপিল: যে কোনো প্রার্থী বা রাজনৈতিক দল নির্বাচনের ফলাফলে সন্তুষ্ট না হলে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারে।
সকল নিয়ম-কানুন মেনে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করার চূড়ান্ত কর্তৃত্ব নির্বাচন কমিশন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪
জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর বাংলাদেশ জাতীয় পরিষদ (জাতীয় সংসদ) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি হল দেশের সংসদের নিম্নকক্ষ, এবং এর সদস্যরা প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়, একটি ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট সিস্টেমের মাধ্যমে। জাতীয় পরিষদ আইন প্রণয়নের জন্য দায়ী এবং সরকারের আইন প্রশাখা হিসেবে কাজ করে।
নির্বাচনটি বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয়, যা দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য দায়ী একটি স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা। রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। ক্ষমতাসীন দল বা জোট সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে এবং সেই দল বা জোটের নেতা প্রধানমন্ত্রী হন।
বাংলাদেশে সর্বশেষ জাতীয় পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮-এ। পরবর্তী জাতীয় পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪
২০২১ সালের শেষ দিকে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তুতি শুরু করে সরকার। ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপে অংশগ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ পাস করা হয়। আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য অনুসন্ধান কমিটি, ২০২২ গঠন করা হয়।
আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য অনুসন্ধান কমিটি, ২০২২ গঠন করা হয়। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রবর্তিত বিধানাবলি অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ পূর্তির আগের ৯০ দিন সময়কালের মধ্যে সংসদ বহাল থাকাবস্থায় ক্ষমতাসীন সরকারের অধীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
৫ সেপ্টেম্বর দুই দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ
২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনী পরবর্তী প্রণীত বিধানাবলির আলোকে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নবম সংসদ নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা যায় নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্য মতে, আমাদের দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ শতকরা ৮৬ ভাগের অধিক ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন অথচ এ নির্বাচনটির এক মাস পর যে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাতে তাদের দেয়া তথ্য মতে ভোট প্রদানের হার ছিল শতকরা ৪৫ ভাগ।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল-পরবর্তী দশম সংসদ নির্বাচন তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল বিএনপির বর্জনে একতরফাভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
এ নির্বাচনটিতে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের জন্য উন্মুক্ত সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে এর অর্ধেকেরও অধিক আসনের ১৫৩ জন প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
অপর যে ১৪৭টি আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় এগুলোতে প্রধান বিরোধী দলের বর্জনের কারণে ভোটার উপস্থিতি নগণ্য হলেও অনুগত নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন ক্ষমতাসীনদের বাসনা অনুযায়ী সব ধরনের অনিয়ম অবজ্ঞা ও উপেক্ষাপূর্বক একপেশে ফলাফল প্রকাশ করে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করে।
৫ সেপ্টেম্বর দুই দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ FAQ
[sc_fs_multi_faq headline-0=”h2″ question-0=” ১২ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে?” answer-0=”২০২৪ সালের ডিসেম্বরে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে। অর্থাৎ ২০২৪ সালের শেষ কিংবা ২০২৪ সালের শুরুতে।” image-0=”” headline-1=”h2″ question-1=” জাতীয় নির্বাচন কবে হবে ২০২২?” answer-1=”২০২৪ সালের ডিসেম্বরে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে। অর্থাৎ ২০২৪ সালের শেষ কিংবা ২০২৪ সালের শুরুতে।” image-1=”” headline-2=”h2″ question-2=” সরকারি ভোট কবে হবে?” answer-2=” সরকারি ভোট কবে হবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে। অর্থাৎ ২০২৪ সালের শেষ কিংবা ২০২৪ সালের শুরুতে।” image-2=”” headline-3=”h2″ question-3=” জাতীয় নির্বাচন ২০২৪ কোন মাসে?” answer-3=” জাতীয় নির্বাচন ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে।” image-3=”” headline-4=”h2″ question-4=” জাতীয় নির্বাচন ২০২৪ কবে হবে?” answer-4=” জাতীয় নির্বাচন ২০২৪ হবে ২০২৪ সালের শেষ কিংবা ২০২৪ সালের শুরুতে।” image-4=”” count=”5″ html=”true” css_class=””]