জামায়াত নেতা আজহারের রিভিউ শুনানি ফের বুধবার

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের প্রথম দিনের শুনানি শেষ হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেছে আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই শুনানির দিন ধার্য করে।

জামায়াত নেতা আজহারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী। তাকে সহযোগিতা করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।

এর আগে সকাল ১০টা ১৭ মিনিটে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি শুরু হয়।

আগের দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছিল আপিল বিভাগ। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এই দিন ধার্য করেন।

আদালতে বিষয়টি উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

এ সময় চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং জামায়াত নেতা আজহারের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল আপিল বিভাগে বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি এটিএম আজহারের রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল। তবে ওই দিন শুনানি হয়নি। রিভিউ আবেদনের শুনানি হওয়া প্রয়োজন ছিল, তাই আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করে।

২৩ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি পিছিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিল আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। বেঞ্চে এক বিচারপতি না থাকায় আদালত শুনানির দিন পিছিয়ে দেয়।

২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখে আপিল বিভাগ।

তখনকার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এই রায় দেয়। পরবর্তীতে জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়।

মুক্তিযুদ্ধের সময় রংপুর অঞ্চলে ১২৫৬ জনকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম, এবং শত শত বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগ আনা হয় আজহারের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের মধ্যে প্রথমটি বাদে বাকি পাঁচটি অভিযোগে তাকে ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দেন। যদিও জামায়াতে ইসলামী এই রায়কে প্রহসন বলে অভিহিত করে।

২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি, ১১৩টি যুক্তি দেখিয়ে জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিল এবং ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করা হয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।