
জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়নি বামপন্থি চারটি দল। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ, মার্কসবাদী) ও শরীফ নুরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।
দলটির নেতাদের দাবি, জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নে তাদের মতামত নেওয়া হয়নি। সেই ঘোষণাপত্রে কী আছে, সেটাও তারা জানেন না। তাই তাদের ভাষায় ‘সাক্ষী গোপাল’ হতে তারা এই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়নি।
তারা জানান, অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন। কিন্তু ঘোষণাপত্রে কী আছে, তাদের জানানো হয়নি। তাই তারা যোগদান করেননি।
‘সাক্ষী গোপাল’ হতে জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা অনুষ্ঠানে যায়নি উল্লেখ করে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক ও বাম জোটের সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নামে কী হচ্ছে তা-তো জানি না। ওটা নিয়ে তো কেউ আমার, আমাদের দল বা জোটের সঙ্গে কথা বলেনি। তাই আমন্ত্রণ পেলেও সাক্ষী গোপাল হতে অনুষ্ঠানে যায়নি। তিনি আরও বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এ বছরের মধ্যে নির্বাচন চাই।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, আগস্টের গণঅভ্যুত্থান তো একদিনে হয়নি। দীর্ঘ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। এটাকে এখন হাইজ্যাক করা হচ্ছে। আর ওই সময় আন্দোলনকারী ছাত্রদের একাংশের দিকে তাকালে তো দেখা যায়, এরা গণ-অভ্যুত্থানকে ক্ষমতা উপভোগ আর টাকা বানানোর মেশিনে পরিণত করছে।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিজেই নিজেকে বিতর্কিত করে তুলেছে, নিজেই আন্দোলনকারীদর মধ্যে বিভক্তির বীজ বপন করেছে।
একই কথা জানালেন বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা। তিনি বলেন, ঘোষণাপত্রের খসড়া আগে পেলে হয়তো যাওয়া যেত। না জেনে সেখানে গেলে হয়তো বিব্রতকর পরিস্থিতি পড়তে হতো। তাই যাইনি।