জুলাই শহীদ ও আহতদের পরিবারের জন্য আবাসন প্রকল্পে হরিলুট – BanglaNewsBDHub.com |

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo



নয়শ’ টাকার আরসিসি পিলারের দাম ধরা হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। শুধু তাই নয়, ২৫ লাখ টাকার লিফট ৯২ লাখ টাকা, ১২ লাখ টাকার সাবস্টেশন ৬৩ লাখ টাকা, ৯৫ হাজার টাকার পানির পাম্প সাড়ে ৪ লাখ টাকা ব্যয় ধরে সরকার ৩৬ জুলাই নামে একটি আবাসন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ এই প্রকল্পে ৪৫ গুণ বেশি ব্যয়ে সীমানা প্রাচীর, চারগুণ বেশি ব্যয়ে কেনা হচ্ছে বেড লিফট, সাবস্টেশন কেনা হচ্ছে পাঁচ গুণ, এমনকি পানির পাম্পও কেনা হয়েছে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি দামে।অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া এই প্রকল্পের কেনাকাটা যেন সেই বালিশ কা-কে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সরেজমিনে প্রকল্পটির প্রস্তাবিত ব্যয় যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায়, এক একটি উপদানের কেনাকাটার অতিরিক্ত ব্যয় সর্বনি¤œ আড়াই গুণ থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ গুণ পর্যন্ত দেখানো হয়েছে।

এ ধরনের বাড়তি ব্যয় ধরেই ‘৩৬ জুলাই’ নামের এক ফ্ল্যাট প্রকল্পের প্রস্তাব আজ একনেক সভায় উপস্থাপন করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত এই প্রকল্পে প্রতিটি পদ ও স্তরেই রয়েছে অনিয়ম ও অস্বাভাবিক বাড়তি ব্যয়ের ছড়াছড়ি। প্রকল্পের নামে বিগত সরকারের আমলের হরিলুট যেন থামছেই না। প্রকল্পটির ব্যয় নিয়ে কথা বলতে গেলে কর্মকর্তারা দায় চাপিয়েছেন অন্যের ওপর। কেউ বলছেন, তড়িঘড়ি করে নেওয়ার কারণে এমনটি হয়েছে। আবার কেউ বলছেন, মাঠপর্যায় থেকে প্রকল্পের সন্নিবেশ করার জন্য এমন ব্যয় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই অস্বাভাবিক ব্যয় কেন যাচাইবাছাই করা হয়নি, তার সঠিক জবাব দিতে পারেননি কেউই।

জানা যায়, বিগত আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারকে মানসম্মত আবাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরিয়ে আনতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ‘৩৬ জুলাই’ নামে এই আবাসন প্রকল্প গ্রহণ করে। কিন্তু যথাযথ নিয়ম-কানুন না মেনেই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি প্রকল্পের বিভিন্ন ব্যয়ের ক্ষেত্রেও অস্বাভাবিক দর প্রস্তাব করা হয়েছে।

ফলে, বিগত সরকারের আমলে প্রকল্পের নামে যে ‘হরিলুট’ হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও সেই পুরানো প্রেতাত্মা ভর করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের আবাসন সুবিধা দিতে বিনামূল্যে ৮ শতাধিক ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ৭৬১ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রস্তাবিত এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।

বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্রে জানা যায়, প্রতিবর্গফুট আরসিসি সীমানা প্রাচীরের নির্মাণ ব্যয় ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। যেমন : ইকো-কনক্রিট প্রোডাক্ট নামে একটি কনক্রিট ব্লক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান প্রতিবর্গফুট সীমানা প্রাচীরের নির্মাণ ব্যয় ১৮০-২০০ টাকা। অপরদিকে আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিবর্গফুট ২৬০ বা তারচেয়ে কিছু কমবেশি হতে পারে। অর্থাৎ প্রতিমিটার বা ৩ দশমিক ৩০ ফুট সীমানা প্রাচীরের নির্মাণ ব্যয় ৬৬০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

এক্ষেত্রে ৯৬৩ দশমিক ১২ মিটারের দাম ৬ লাখ ৩৬ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৮ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। কিন্তু দাম ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৯২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে আনুমানিক ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা অতিরিক্ত ধরা হয়েছে। অর্থাৎ সীমানা প্রাচীরের ক্ষেত্রে ৪৫ গুণ বেশি দাম ধরা হয়েছে।

প্রকল্পের জন্য ১০০০ কেজি ধারণ ক্ষমতার ১৮টি বেড লিফটের দাম ধরা হয়েছে ১৬ কোটি ৭২ লাখ ৯২ হাজার টাকা, যার প্রতিটির দাম গড়ে ৯২ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। কিন্তু বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালে ব্যবহৃত হ্যামার ব্রান্ডের প্রতিটি ১৩শ’ কেজি বেড লিফটের দাম ১৪ লাখ ৫০ হাজার, ফুজি ১২শ’ কেজি ১৪ লাখ টাকা, ফুজিএইচডি ২৫ লাখ টাকা, সিগমা ৩ হাজার কেজি ১৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতিটি লিফটের মান ও ওজন ভেদে ১৪ লাখ থেকে-২৫ লাখ টাকার মধ্যে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা দর বিবেচনায় ১৮টি বেড লিফটের ব্যয় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক্ষেত্রে প্রকৃত ব্যয়ের চেয়ে প্রায় চারগুণ বেশি দাম ধরা হয়েছে।

অপরদিকে ১০ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৮শ’ কেজির ১২টি প্যাসেঞ্জার লিফট ক্রয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রতিটি লিফটের গড় ক্রয় দর ৮৩ লাখ ৫৫ হাজার। কিন্তু বাজারে ৮শ’ কেজি ওজনের প্রতিটি লিফটের দাম ব্রান্ড ও মানভেদে সর্বনি¤œ ১২ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অর্থাৎ সর্বোচ্চ দাম বিবেচনায় নিলেও ১২টির প্যাসেঞ্জার লিফটের দাম দাঁড়ায় ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে প্রকৃত দামের চেয়ে তিনগুণ বেশি ধরা হয়েছে।

প্রকল্পে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ১০০০ কেভিএ (কিলো ভোল্টঅ্যাম্পিয়ার) ক্ষমতাসম্পন্ন ৬টি সাবস্টেশন ট্রান্সফরমার ক্রয় করা হবে। যেখানে দাম ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৯১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতিটির দর ৯৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অথচ এনার্জি সিস্টেম কোম্পানি এবং ট্রান্সপাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের মতো বাংলাদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সমান ক্ষমতাসম্পন্ন এ ধরনের সাবস্টেশনের ক্রয়মূল্য ১৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা থেকে ৪০ লাখ টাকায় এ ধরনের সাবস্টেশন ট্রান্সফরমার বিক্রি করছে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দর ৪০ লাখ টাকা ধরলেও ৬টি সাবস্টেশনের ব্যয় হয় ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। কিন্তু এক্ষেত্রে ৩ কোটি ৫১ লাখ ৬০ হাজার টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা প্রকৃত দরের চেয়ে প্রায় আড়াই গুণ বেশি।

আবার ২৫০ কেভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন ১২টি সাবস্টেশনের দাম ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৫৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতিটির গড় দাম ৬২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। কিন্তু কোম্পানি ও মানভেদে এসবের দাম দেখা গেছে ৪ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত। যদি সর্বোচ্চ ১২ লাখ টাকা দর ধরা হয়, তাহলে ১২টি সাবস্টেশনের জন্য ব্যয় হওয়ার কথা ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে প্রকৃত ব্যয় থেকে পাঁচ গুণেরও বেশি ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এদিকে প্রকল্পের জন্য ২০ হর্সপাওয়ার (এইচপি) ক্ষমতাসম্পন্ন ১২টি পাম্প ক্রয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতিটি পাম্পের গড় দর ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু মুন গ্যালারী নামে একটি বাংলাদেশি ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, ১০ এইচপি পাম্প তারা ৫৬ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। তবে ২০ এইচপি হলে সেটা এক লাখ টাকায় দেওয়া সম্ভব।

এছাড়া কোট্রিক ডটকম নামে একটি ওয়েবসাইট সূত্রে দেখা গেছে, শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত গাজী ব্র্যান্ডের ২০ এইচপি ও ২৯০০ আরপিএম সাবমার্সিবল পাম্পের দাম ৬৫ হাজার টাকা, পেডরোলো ব্র্যান্ডের ৯৫ হাজার টাকা এবং আরএফএল ব্র্যান্ডের ৬৪ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদি এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দর ৯৫ হাজার টাকা বিবেচনায় নেওয়া হয়, তাহলে ১২টি পাম্পের ক্রয়মূল্য দাঁড়ায় ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে প্রায় পাঁচগুন বেশি ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে।

আবার ১০ এইচপির পাম্পের ক্ষেত্রে দেখা যায়, মেলমার্ট নামক ওয়েবসাইটে মারকুইস ব্র্যান্ডের ৪ ইঞ্চি বোরহোলের পাম্প ৫১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে মুন গ্যালারীতে গাজী ব্র্যান্ডের সমক্ষমতাসম্পন্ন পাম্পের দাম ৫৬ হাজার টাকা। অপরদিকে ইস্মার্ট থেকে পেনটাক্স মনোব্লকের বিক্রয় দাম দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ সর্বনি¤œ ৫১ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৩ হাজার টাকায় ১০ এইচপি পাম্প পাওয়া যায়। কিন্তু প্রকল্পে ২৪টি পাম্পের দাম ৯৬ লাখ টাকা হিসাব করে প্রতিটির গড় দাম দাঁড়ায় ৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ এখানেও গড়ে ৩ লাখ টাকা অতিরিক্ত হিসেবে ২৪টি পাম্পের জন্য ৭২ লাখ টাকা অতিরিক্ত ধরা হয়েছে।

এদিকে প্রকল্পটির জন্য এখন পর্যন্ত কোনো নীতিমালা, মাস্টারপ্ল্যান ও নকশা প্রণয়ন হয়নি বলে জানা গেছে। গত ১৬ জুন পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় শহীদ পরিবারের জন্য ফ্ল্যাট প্রকল্পটির নানা জটিলতার কথা তুলে ধরা হয়। কিভাবে ফ্ল্যাটের মালিকানা নির্ধারিত হবে, কে হবেন শহীদের উত্তরাধিকারী- এসব বিষয়ে প্রকল্পে কিছু বলা হয়নি।

সভায় উপস্থিত পরিকল্পনা কমিশনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিয়মকানুন, নির্দেশিকা, প্রকল্প থেকে কি অর্জন, কারা সুবিধাভোগী- ইত্যাদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব তথ্য থাকতে হয়। এ বিষয়গুলো প্রকল্পের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক। কিন্তু এক্ষেত্রে তা দেখা যায়নি।

পিইসি সভায় থাকা সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, একটি প্রকল্প নিতে হলে পরিবেশ, ইকোসিস্টেমের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়বে, মাস্টারপ্ল্যানটা কী, কাদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে- এসবের স্পষ্ট একটি লিখিত বিবরণ থাকতে হয়। এ প্রকল্পে সেগুলো পাইনি। মনে হয়েছে তাড়াহুড়া করে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আমরা প্রকল্পে ডিপিপি সংশোধনের কথা বলেছি। এছাড়া ফিজিবিলিটি স্টাডি, আউটপুট নির্ধারণ, প্রকল্পের লগফ্রেম যথাযথ হয়নি বলে মনে হয়েছে। তাই ডিপিপির আগে এসব বিষয় সংশোধন করার কথাও বলেছি।

ভৌত অবকাঠামো বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) কবির আহমেদ বলেন, আমাদের কাছে আহতদের জন্য ফ্ল্যাট বরাদ্দের প্রকল্পটি এসেছিল। ডিপিপি সঠিকভাবে হয়নি বলে মনে হয়েছে। অপূর্ণতাগুলো ঠিক করতে সংশোধনী দেওয়া হয়েছে। এটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একনেকে উঠবে। সেখানে অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।

এসব বিষয়ে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে প্রতিষ্ঠানটির সচিব মনদিপ ঘরাইর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না উল্লেখ করে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হারিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। এরপর হারিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রকল্পের পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত নন জানিয়ে পরিকল্পনা উইংয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হোরায়রার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

পরবর্তীতে নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হোরায়রার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এই প্রতিবেদককে রবিবার গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের দপ্তরে এসে কথা বলতে বলেন। কিন্তু যখন ডিপিপি প্রণয়নে তার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত দাম ধরার অভিযোগ সম্পর্কে অবগত করা হয়, তখন তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আপনি যেহেতু এ বিষয়ে সাংবাদিকতা করেন, আপনার জানা থাকার কথা- ডিপিপি প্রণয়নের প্রাক্কলন ফিল্ড অফিস থেকে আসে।’ কিন্তু ফিল্ড অফিস থেকে ডিপিপির প্রাক্কলন আসলেও সেটা যাচাই করার দায়িত্ব আপনার, এমনটা জানালে তিনি আর কোনো জবাব দেননি।

এদিকে প্রকল্প প্রণয়নে নীতিমালা না থাকলেও জুলাই অভ্যুত্থান সম্পর্কিত হওয়ায় দ্রুতই এটি অনুমোদন পেয়ে যাবে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। নাম গোপন রাখার শর্তে সূত্রটি আরও জানায়, শহীদ পরিবারের প্রকল্পটি এরই মধ্যে প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে, ডিপিপিতে অনুমোদন হয়ে যাবে। এখানে বেশি ত্রুটি দেখা হবে না, সংশোধনও হবে না।

সূত্র : জনকণ্ঠ (রিপোর্টার : জাহিদুল ইসলাম)

  • আবাসন প্রকল্প
  • জুলাই শহীদ ও আহত
  • পরিবার
  • হরিলুট
  • মন্তব্য করুন

    আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।