ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে শুক্রবার রাতে তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুইজন ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার, এবং একজন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাসিন্দা। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পিয়ারপুর গ্রাম থেকে এক কিলোমিটার দূরে এই ঘটনাটি ঘটে, যেখানে একটি বড় মাঠের মধ্যে তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে, রাস্তায় ছড়িয়ে থাকা রক্তের দাগ এবং খালের পানিতে পড়ে থাকা একটি লাশ চোখে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে তারা বিকট গুলির শব্দ শুনলেও কেউ মাঠে গিয়ে দেখে আসেনি।
এই এলাকা দীর্ঘদিন ধরে চরমপন্থীদের তৎপরতার জন্য (দুর্ভেদ্য) হয়ে উঠেছে। ২০০৩ সালের ৫ ডিসেম্বর এখানে ৫ জনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। পরবর্তী বছরগুলোতেও একাধিক হত্যার ঘটনা ঘটে, যার মধ্যে কিছু হত্যার পর লাশ নানা স্থানে পাওয়া যায়। গত ২২ বছরে অন্তত ৮ জন এই এলাকায় হত্যা করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন। বিকেল বেলা, বিশেষত দিনের পর, এই সড়কগুলোতে স্থানীয়রা খুবই কম চলাফেরা করেন।
ঘটনার পর স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এক অজ্ঞাত বার্তা পাঠানো হয়, যেখানে ‘কালু জাসদ গণবাহিনী‘ নামের সংগঠনের দায় স্বীকার করা হয়। তবে এই বার্তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, অনেকেই সন্দেহ করছেন যে, হয়তো ঘটনার পেছনে কিছু গোপন উদ্দেশ্য কাজ করছে।
এখন আবার এক রহস্যময় চরিত্র ‘কালু’ নামক চরমপন্থী নেতার কথা উঠেছে। যদিও তিনি দীর্ঘদিন ভারতে ছিলেন, তবে সম্প্রতি দেশে ফিরে আসার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
স্থানীয়দের মতে, এই অঞ্চলটি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। মানুষ দিন-রাতের পার্থক্য ছাড়াই ভয়ভীতি নিয়ে চলাফেরা করে, বিশেষত রাতে সেখানে কেউ বের হতে চায় না।