
প্রতীকী ছবি
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে রায়হান (৩০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার বল্লা ইউনিয়নের রামপুর কোকরাইল গ্রামের একটি পুকুর থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রায়হান উপজেলার কোকরাইল গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে। তিনি হত্যাসহ পাঁচটি মামলার আসামি ছিলেন। রায়হান রামপুরের আলোচিত সলিট হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন।
জানা গেছে, গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে রায়হান বাড়ি থেকে বের হন। পরে সকালে স্থানীয় লোকজন গ্রামের একটি পুকুরে তাঁর রক্তাক্ত লাশ দেখে থানায় খবর দেন। পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
রায়হানের বাবা বাদল মিয়া বলেন, ‘ভোর ৪টার দিকে মুন্না নামের একজন বাসায় এসে আমাকে বলেন, আপনার ছেলেকে একদল লোক কোপাচ্ছে। আমি খবর পেয়ে কোকরাইল গ্রামের রিপনের পুকুরে রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলের লাশ দেখতে পাই।’
রায়হানের স্ত্রী শিল্পা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী রাত ২টার দিকে ফোন করে মুড়ি মাখানোর জন্য পেঁয়াজ, মরিচ কেটে রাখতে বলেন। এর কিছুক্ষণ পরে বাড়িতে এসে কেটে রাখা পেঁয়াজ, মরিচ ও মুড়ি-চানাচুর নিয়ে যান। সে সময় তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তাঁর সঙ্গে আরও একজন ছিলেন। তবে তাঁকে আমি চিনতে পারিনি।’
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূঁইয়া বলেন, রায়হান হত্যা, মাদক সেবন-বিক্রিসহ বিভিন্ন অভিযোগে পাঁচটি মামলার আসামি ছিলেন। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তের পর বলা যাবে, কে বা কারা এবং কেন তাঁকে হত্যা করেছে।