ট্যানারি গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড : ভবনের ভেতরে দাহ্য বস্তু, ছিল না ফায়ার সেফটি প্ল্যানও – BanglaNewsBDHub.com |

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo



রাজধানীর হাজারীবাগ বাজারে একটি ট্যানারি গোডাউনে লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের তিন ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ভবনটিতে ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের এ কথা জানান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) লে. কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে তিন ঘণ্টা। আমাদের সক্ষমতার পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়নি। পানির সংকট, ভেতরে দাহ্য বস্তু, উৎসুক জনতার ভিড় ও সরু রাস্তার কারণে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা কাজে লাগানো যায়নি।

তিনি আরও জানান, প্লাস্টিক, লেদারস দাহ্য বস্তুর কারখানা ছিল ভবনটিতে। তবে আগুনে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ভবনে ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে কয়েকবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। আগুন ভবনের ৫, ৬ ও ৭ তলায় ছড়িয়ে পড়েছিল।

তিনি বলেন, এটি একটি পুরাতন ভবন। ভবনটিতে মিশ্র পদার্থ ছিল, কাঁচামাল, প্লাস্টিক, গার্মেন্টস পণ্য এবং উপরে ছিল জুতার কারখানা। জুতার কারখানায় বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ রয়েছে। আমরা ভয় পাচ্ছিলাম এটি জনবহুল এলাকা, আগুন বিস্তার লাভ করলে অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটত। সেটি আমরা রোধ করতে পেরেছি, এটিই আমাদের বড় সফলতা।

আগুন ভবনটির ৫ তলা থেকে ৬ ও ৭ তলা পর্যন্ত ছড়িয়েছে জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, নিচের দিকে আগুন ছিল না। আগুনের সূত্রপাত এখনো বের করা যায়নি। তবে শর্ট সার্কিট কিংবা সিগারেটের কারণে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে তদন্তের পর মূল কারণ জানা যাবে।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, সরকারের আইনে ফায়ার সেফটি অবশ্যই থাকতে হবে। কিন্তু এই ভবনটিতে দাহ্য পদার্থ থাকার পরও কোনো ফায়ার সেফটি ছিল না। আগুন ছড়িয়ে পড়লে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারত।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সব ইক্যুইপমেন্ট এখানে আনা সত্ত্বেও আমরা কাজ করতে পারিনি। কারণ, এখানকার রাস্তা অনেক ছোট এবং ভবন একটির সঙ্গে আরেকটি লাগানো। আমরা ১৩টি ইউনিট এনেছিলাম, কিন্তু সব ইউনিট কাজ করতে পারিনি।

  • অগ্নিকাণ্ড
  • ট্যানারি গোডাউন
  • ফায়ার সেফটি প্ল্যান
  • মন্তব্য করুন

    আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।